সাত দিন পর বন্ধ করে দেওয়া হলো রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৯ টার দিকে কাপ্তাই হ্রদরে পানির উচ্চতা ১০৭.

৩৪ এমএসএলের নিচে নেমে আসায় অর্থাৎ বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়। এ কারণে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবকটি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা ছিল ১০৭.০৬ এমএসএল। অর্থাৎ বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে লেকে পানির উচ্চতা কমে আসছে।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় ৫ আগস্ট রাত ১২.০৫ মিনিটে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ছয় ইঞ্চি খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন হয়। 

বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় এবং লেকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় জলকপাটগুলো দেড় ফুট খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত জলকপাটগুলো খুলে লেকের পানি নিষ্কাশন করা হয়। কাপ্তাই লেকের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। 

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জলকপ ট

এছাড়াও পড়ুন:

চার দিন পর চন্দ্রঘোনায় ফেরি চলাচল শুরু, রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে যানবাহন চলছে

কাপ্তাই বাঁধ খুলে দেওয়ার পর পানির তীব্র স্রোতের কারণে বন্ধ হয়ে যায় কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা ঘাটে ফেরি চলাচল। চার দিন পর আজ ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। এতে স্বাভাবিক হয়েছে রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে যানবাহন চলাচল।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রাঙামাটি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার পরিমাণ কমায় কর্ণফুলী নদীতে স্রোত কমেছে। এতে ফেরি চলাচলে ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় আজ সকাল সাতটা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে জরুরি প্রয়োজনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালা-শীলঘাটা হয়ে যান চলাচলের সুযোগ ছিল।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, কর্ণফুলী নদীর পানির স্রোত কমেছে। তাই ফেরি চলাচলে ঝুঁকি নেই বলা যায়। মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে রাঙামাটিতে বৃষ্টি নেই। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলও থেমে গেছে। এর মধ্যে কাপ্তাই বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হ্রদেও পানির চাপ কমেছে। আজ বেলা দেড়টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি ফটক আড়াই ফুট করে খোলা ছিল।

পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, আজ বেলা একটায় কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৭ দশমিক ৫৪ ফুট এমএসএল। এর আগে গত কয়েক দিনে হ্রদে ১০৮ দশমিক ৮৪ ফুট এমএসএল পর্যন্ত পানি ছিল। হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টি থেমে যাওয়া ও বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হ্রদে পানি দ্রুত কমছে। পর্যায়ক্রমে তাই বাঁধের ফটক দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমাণও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার খুলে দেওয়া কাপ্তাই বাঁধ বন্ধ করা হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাত দিন পর বন্ধ করা হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট
  • চার দিন পর চন্দ্রঘোনায় ফেরি চলাচল শুরু, রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে যানবাহন চলছে
  • রাঙামাটিতে পানিবন্দি মানুষ ২৩ হাজার