চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় আবু সাইদ রানা নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। 

সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে ইশান মিস্ত্রি হাট সংলগ্ন সড়কে তার ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।  

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান জানান, পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তা আবু সাঈদ রানা বন্দর থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।

আরো পড়ুন:

শিবচরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির ওপর হামলা, আহত ২৫

কুষ্টিয়ার মিরপুরে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সল্টগোলা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গতকাল রাতে হঠাৎ মিছিল বের করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়। এসময় উপ-পরিদর্শক রানাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

আহত পুলিশ সদস্যকে প্রথমে মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী এলাকাজুড়ে যৌথ অভিযান শুরু করে। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান জানান, অভিযানে থাকা অবস্থায় এ হামলা হয়েছে। এসআই আবু সাইদ রানা গুরুতর আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত আটক

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. আবদুল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিনকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়ি ও গুইমারার পরিস্থিতি থমথমে, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর

ঠাকুরগাঁওয়ে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার 

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয় আবদুল্লাহকে।

মারা যাওয়া আবদুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে। 

সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে চারদিন আটকে রাখা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিন এ ঘটনা নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিংবা থানার ওসিকে অবগত করেনি।

আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হককে আসামি করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাগড়াছড়িতে হত্যা ও হামলার ঘটনায় ৩ মামলা
  • পাথরঘাটায় ৪০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
  • পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার