নেত্রকোনা সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার জেলা পাবলিক হলে এই সম্মেলনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে মো. মজিবুর রহমান খান সভাপতি এবং তাজউদ্দিন ফারাস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৪ সালে সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে মো.

মজিবুর রহমান খানকে সভাপতি এবং মো. তাজেজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের আগস্টে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সভাপতি পদে আনারস প্রতীকে মো. মজিবুর রহমান খান ও চেয়ার প্রতীকে মো. তাজেজুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ফুটবল প্রতীকে তাজউদ্দিন ফারাস এবং ঘোড়া প্রতীকে মো. আবদুর রাজ্জাক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

গতকাল দুপুরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেছ আলী এবং প্রধান বক্তা ময়মনসিংহ বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

সন্ধ্যায় দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১২টি ইউনিয়নের ৮৫২ ভোটারের মধ্যে ৮৪১ জন ভোট দেন। এতে ৪২৪ ভোট পেয়ে মো. মজিবুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ৪৭৮ ভোট পেয়ে তাজউদ্দিন ফারাস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ত ব এনপ র ত হয় ছ গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহ বোর্ডে পুনর্মূল্যায়নে মোট পাস ২১০, জিপিএ-৫ বৃদ্ধি ১৬৬

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফলাফল পুনর্মূল্যায়নে ফেল থেকে পাস করেছে ২১০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬৬ জন।

রবিবার (১০ আগস্ট) ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে মোট ৪৬ হাজার ৬৬৪টি আবেদন জমা পড়েছিল। এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাইয়ে ৩ হাজার ৮টি উত্তরপত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৯০টি আবেদনে শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট পরিবর্তিত হয়। বাকি আবেদনগুলোতে নম্বর বাড়লেও গ্রেড পয়েন্ট অপরিবর্তিত।

অধ্যাপক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান জানান, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের কারণে বোর্ডের সামগ্রিক পাশের হার দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।

প্রাথমিকভাবে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল তখন মোট পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। পুনর্মূল্যায়নের পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৬৬৬ জনে। পাশের হার শতকরা ৫৮.২২ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ৫৮.৪২ শতাংশ।

অন্যদিকে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগে ছিল ৬৬৭৮ জন। পুনর্মূল্যায়নের পর এই সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৪৪ জনে।

২০২৫ সালের এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ১০ জুলাই। ১১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১৭ জুলাই।

ফলাফলে এমন ত্রুটির বিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, সাধারণত যেসব শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, তাদের কিছু ভুলের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। প্রথম, দ্বিতীয় পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক নম্বরপত্র হিসাব নিকাশ করে চূড়ান্ত করে বোর্ডে পাঠায়।

ঢাকা/মাহমুদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতন চালানো ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে অব্যাহতি
  • গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, যানজট
  • গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ 
  • ময়মনসিংহ বোর্ডে পুনর্মূল্যায়নে মোট পাস ২১০, জিপিএ-৫ বৃদ্ধি ১৬৬
  • অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
  • বিপিএলে ফিক্সিং ঠেকাতে আইসিসির দ্বারস্থ হবে বিসিবি