অশালীন আচরণ, যৌন হয়রানি ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুবেল আনসারের বিরুদ্ধে। এক ছাত্রী খুবির যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে এই অভিযোগ করেছেন।

সোমবার (১১ আগস্ট) অভিযোগটি তদন্তের জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড.

মো. নাজমুস সাদাত বলেন, “গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) অফিস শেষে অভিযোগটি জমা পড়ে। গত রবিবার অফিস খোলার পর আবেদনটি দেখে সেটি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেই।”

আরো পড়ুন:

রাবি উপাচার্যের বাসভবনে সাবেক ছাত্রদল নেতার তালা

ডাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের যে কোনো হয়রানি বন্ধে বর্তমান প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের জমা দেওয়া তিন পাতার অভিযোগে ওই ছাত্রী ধারাবাহিকভাবে তাকে হয়রানিরর বিভিন্ন বর্ণনা দেন। এর সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে ওয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যৌনবার্তার স্ক্রিনশট জমা দিয়েছেন।

অভিযোগের একটি অংশে শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, “হঠাৎ তিনি একদিন কল দেন এবং তার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেন। আমি নিরালা মোড়ে গেলে তিনি কিছু কথা বলার অনুরোধ করে গাড়িতে উঠতে বলেন। তখন কথা বলার একপর্যায়ে গাড়ির ভেতরে (প্রকাশযোগ্য নয়) সরাসরি অনৈতিক প্রস্তাব দেন। আমি কথাগুলো শুনে আপত্তি করি এবং রেগে গাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করি।” 

তিনি আরো উল্লেখ করেন, “তিনি তখন ড্রাইভ করা অবস্থায় আমার হাত চেপে ধরেন এবং বলেন ‘জেদ করো না; আমি যা চাই তাই আমার করে নিই। আজ না হোক কাল আমার ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেবই।’ জোর করে তার হাত ছাড়ানোর পর আবার বলেন, ‘আমি কখনো এত দিন কারো পেছনে ঘুরিনি, কারো জন্য অপেক্ষা করিনি, তোমার জন্যই এত দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমি তোমার রেজাল্টও বাড়িয়ে দেব, তোমার রেজাল্ট ৩.৫০ হয়ে যাবে।’ এসব শোনার পরে আমি দ্রুত তার গাড়ি থেকে নেমে কোনো রকমে আত্মরক্ষা করি।”

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক ড. রুবেল আনসার। তিনি বলেন, “ওই শিক্ষার্থীর বাবার অনুরোধে আমি তার খোঁজ খবর নিতাম। যে ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এমন কিছু তার সঙ্গে ঘটেনি। সম্পূর্ণ অভিযোগই মিথ্যা।”

খুবির যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতি মোছা. তাসলিমা খাতুন বলেন, “অভিযোগ তদন্তের জন্য ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে কমিটি কাজ শুরু করেছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ য ন হয়র ন তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হচ্ছে দুটি জাহাজ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কেনা হচ্ছে। হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি নামক প্রতিষ্ঠান থেকে এই জাহাজ দুটি কিনতে ব্যয় হবে ৯৩৬ কোটি টাকা।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই জাহাজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দুটি জাহাজ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। এর মধ্যে দুটি প্রস্তাব কারিগরিভাবে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

সব প্রক্রিয়া শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায় যুক্তরাষ্ট্রের হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি। এতে বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যয় হবে ৭৬ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার। জাহাজ দুটি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা হবে।

সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় আজ।

এই বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিআইডব্লিউটিএর বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসম আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ) (২য় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর বিআর ডব্লিউটিপি-ডব্লিউ২-০১, বিআর ডব্লিউটিপি-ডব্লিউ৩-০১ অ্যান্ড বিআর ডব্লিউটিপি-ডব্লিউ১-০২–এর অবশিষ্ট কাজ বাস্তবায়নে সরকারি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ