সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার বাহাদুপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ চারজনের নিহতের ঘটনায় চালক জাকির আলমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন। সুনামগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আকবর হোসেন বিষয়টি রাইজিংবিডি-কে নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে সিলেট থেকে জাকির আলমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পর দিন তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে।

আরো পড়ুন:

মহাসড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস

৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জেলার শান্তিগঞ্জে অবস্থিত সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা সুনানমগঞ্জ শহরে ফিরছিলেন। পথে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় বিপরীতমুখী বাস ওই অটোরিকশায় ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার যাত্রী শফিকুল ইসলাম (৫০) ও আফসানা জাহান খুশী (১৭) মারা যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে সেখানে স্নেহা চক্রবর্তী (১৮) মারা যায়। গুরুতর আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার দিন পরে মারা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আব্দুর রশিদ (২৭)।  

নিহত আফসানা জাহান খুশী সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের আরপিনগর এলাকা দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। 

নিহত স্নেহা চক্রবর্তী সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের বিপুল চক্রবর্তীর মেয়ে। 

অপর নিহত শফিকুল ইসলাম সুনামগঞ্জ শহরের আলীপাড়ার বাসিন্দা এবং আব্দুল রশিদ শান্তিগঞ্জ উপজেলার বসিয়া খাউরি গ্রামের বাসিন্দা। 

ঢাকা/মনোয়ার/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত স ন মগঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৭ দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ ওয়ালটনের

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। সেই লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিনিয়ত ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নতুন নতুন দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করে চলেছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত অন্যতম শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন ৭টি দেশে সম্প্রসারিত হয়েছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার সূত্রমতে, গত অর্থবছরে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণকৃত দেশের তালিকায় রয়েছে উত্তর ও মধ্য আমেরিকায় অবস্থিত ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোস, ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি ও ভানুয়াতু, আফ্রিকা মহাদেশের ক্যামেরুন ও ক্যাপভার্ড এবং এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রতিনিধিরা

এবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ

আন্তর্জাতিক বাজার কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রধান আব্দুর রউফ বলেন, “পণ্যের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, টেকসই ও উচ্চ গুণগতমান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, পরিবেশবান্ধব এবং মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। ফলে বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নতুন নতুন দেশে প্রতিনিয়ত ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করে চলেছে ওয়ালটন।”

তিনি বলেন, “গত এক বছরে (২০২৪-২৫) নতুন ৭টি দেশের বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।”

আব্দুর রউফ জানান, চলতি দশকের শুরু থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। সেই লক্ষ্য অর্জনে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে কাজ করছে ওয়ালটন। সেজন্য সুদক্ষ এবং চৌকস গ্লোবাল বিজনেস টিম গঠন করা হয়েছে।পাশাপাশি কয়েকটি দেশে সাবসিডিয়ারি এবং শাখা অফিস স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের উদ্ভাবনী পণ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড, আবহাওয়া এবং ক্রেতাদের চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণার প্রেক্ষিতে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। যার ফলে একের পর এক নতুন দেশে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হচ্ছে।”

ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, কম্প্রেসর, ফ্যানসসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী রপ্তানিকারক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন পণ্য। বাংলাদেশে ওয়ালটন পণ্য ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে রয়েছে।যার ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে ওয়ালটন আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ঢাকা/সাহেল/পলাশ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ