কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় এক দোকানির কান কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেছেন এক ব্যক্তি। বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় সুমন হোসেন (২০) নামের এক তরুণ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পচামাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে থানায় মামলা করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

আহত দোকানি আমানুজ্জামানকে (৪৫) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি পচামাদিয়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমানুজ্জামানের দোকানে প্রতিবেশী সুমন হোসেন বাকিতে সিগারেট নিতে যান। তিনি বাকিতে সিগারেট দিতে রাজি না হয়ে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুমন প্রথমে হাঁসুয়া দিয়ে দোকানিকে আঘাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে হঠাৎ দোকানির ডান কান কামড়ে ছিঁড়ে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আমানুজ্জামানকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আমানুজ্জামানের বড় ভাই নাজমুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি দৌলতপুর থানায় মামলা করেছেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আসামি ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম ন জ জ ম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ