রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের কয়লা খনির শহর ডোব্রোপিলিয়ার কাছে হঠাৎ আক্রমণ চালিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বৈঠকের প্রস্তুতির সময় কিয়েভের উপর জমি ছেড়ে দেওয়ার চাপ বাড়ানোর এটি প্রচেষ্টা হতে পারে বলে মঙ্গলবার রয়টার্স জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ইউক্রেনের ডিপস্টেট যুদ্ধ মানচিত্রে দেখানো হয়েছে যে রাশিয়ান বাহিনী সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দুটি প্রান্তে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) উত্তরে অগ্রসর হয়েছে। এটি ইউক্রেনের ডোনেটস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য তাদের অভিযানের অংশ।

রাশিয়ানরা ইউক্রেনীয় শহর কোস্টিয়ানটিনিভকা এবং পোকরোভস্কের সাথে সম্পর্কিত ফ্রন্টলাইনের একটি অংশে তিনটি গ্রামের কাছে এগিয়ে গেছে, যা মস্কো কিয়েভের জনবলের অভাবকে কাজে লাগিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অগ্রগতি সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশকারী ডিপস্টেট বলেছে, “পরিস্থিতি বেশ বিশৃঙ্খল, কারণ শত্রুরা প্রতিরক্ষায় ফাঁক খুঁজে পেয়ে আরো গভীরে অনুপ্রবেশ করছে, দ্রুত আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাহিনী একত্রিত করার চেষ্টা করছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার আলাস্কায় বৈঠকে ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অসমর্থিত সংবাদ সূত্র জানিয়েছে, পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন যে তিনি চান ইউক্রেন ডোনেটস্ক অঞ্চলের সেই অংশ হস্তান্তর করুক যা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে নেই।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ