কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা মারা যান। ভেড়ামারা থানার ওসি আবদুল রব তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মারা যাওয়া কৃষকরা হলেন- ভেড়ামারার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের বারি শাহের ছেলে মো. বিপ্লব (২৬) এবং মোকারমপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে মজ্জেলের ছেলে মো.

শামীম (২১)।

আরো পড়ুন:

নৌকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু

বিদ্যালয়ের সিঁড়ির রেলিং থে‌কে প‌ড়ে ছাত্রীর মৃত্যু

এলাকাবাসী জানান, জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের কৃষক বিপ্লব মাঠে ধানের চারা রোপণ করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে এলাকাবাসী তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় বিপ্লবের সহকর্মী শহীদুল ইসলাম আহত হয়েছেন।

মোকাররমপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকার কৃষক শামীম নওদাক্ষেমিরদিয়ার মাঠে কাজ করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বজ্রপাত হলে তিনি আহত হন। এলাকাবাসী তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে শামীমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক একরামুল হক। 

ভেড়ামারা থানার ওসি মো. আবদুল রব তালুকদার বলেন, ‍“পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ