ওয়ার্ড নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড গোয়ালখালী মধ্যপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে বিএনপির ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বোয়ালখালী গ্রামের খনন কাজী ও আলাল বিশ্বাস। নির্বাচনে খনন কাজী পরাজিত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলাল বিশ্বাসের লোকজনের উপর বিভিন্ন সময় মারধরসহ হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন খনন কাজী। সেসব ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাতে বোয়ালখালী মধ্যপাড়ায় রুবেলের দোকানের সামনে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়।

আহতরা হলেন- ফারুক মোল্লা ( ৪০), বদরুল মোল্লা (৪২), তরিকুল ইসলাম (৩৭), হাসান মোল্লা ( ২৭) ও মারুফ মোল্লা (৩০)। তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, “সদর উপজেলার গোয়ালখালী এলাকায় গতকাল রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনো থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ উর্মি খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের অভিযোগে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন:

সিলেটে ছুকিরাঘাতে মাদরাসা শিক্ষক নিহত

চাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিকশাচালক নিহত

এর আগে, শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এফ ব্লকের একটি ভাড়া বাসা থেকে উর্মির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত উর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। প্রায় ৫ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারা কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং সিটি কলেজের সামনে একটি কাপড় ও খাবারের দোকান পরিচালনা করতেন।

নিহতের ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই রানা মাদকাসক্ত ছিলেন এবং এ কারণে একাধিকবার কারাগারে যান। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ থেকেই ঝগড়া-বিবাদের জেরে মারধর ও শ্বাসরোধ করে উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে।”

ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা স্বীকার করেছেন, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রানা উর্মিকে মারধর করে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।

ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ