১৯৬১ সালের ১৩ আগস্ট। পূর্ব জার্মানির মানুষ গভীর ঘুমে। কিন্তু একদল মানুষ নির্ঘুম। তাঁরা কাঁটাতার দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের কাজে ব্যস্ত, যে প্রাচীর পূর্ব জার্মানিকে পশ্চিম জার্মানি থেকে আলাদা করে দেয়। অসংখ্য পরিবারের সদস্যদের মুখ–দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। প্রাণের বন্ধুকে চিরতরে হারাতে হয়। প্রায় ২৮ বছর পর ভাঙা হয় বার্লিন প্রাচীর। আবারও একত্র হন দুই জার্মানির মানুষ।

বার্লিন প্রাচীর কেন নির্মাণ করা হয়েছিল

১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে জার্মানি। মিত্রশক্তির মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।

যুদ্ধ শেষে মিত্রশক্তির দেশগুলো জার্মানিকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিটি দেশ জার্মানির একটি করে অঞ্চলের দায়িত্ব নেয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স নেয় পশ্চিমাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ, আর পূর্বাঞ্চল দখলে রাখে সোভিয়েত ইউনিয়ন।

বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর পূর্ব জার্মানির এক নারী পশ্চিম জার্মানির এক নারীকে জড়িছে ধরেছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন নগরের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে ‘সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ’ ও ‘ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম, চট্টগ্রাম’–এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইকবাল হোসেন নামের ওই চিকিৎসকের সাহায্য চাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ধারণের সময় তাঁর মুখে রক্ত দেখা যায়।

৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে চিকিৎসককে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ডাক্তার ইকবাল। বাকলিয়ায় পুরাতন চারতলায় আছি। আমাকে...বিএনপির হারুন; ওদের সন্ত্রাসীদেরকে টাকা দিই নাই বলে আমাকে মারছে, আমাকে মারার জন্য খুঁজতেছে। আমি লুকাই আছি একটা ঘরের মধ্যে। ৯৯৯–এ ফোন দিয়েছি। ২০ থেকে ৩০ মিনিট হয়ে গেছে ওরা আসতেছে না। আমার ভাগনে–ভাগনিকে নিয়ে গেছে। আমাকে বাঁচান ভাই।’

পুলিশ সূত্র জানায়, ভিডিওতে থাকা ওই ব্যক্তি চট্টগ্রাম নগরের ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক ইকবাল হোসেন (৩৮)। ঘটনাটি ঘটেছে নগরের বাকলিয়া এলাকার পুরাতন চারতলা এলাকায়। ওই চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি এ টি এম রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক এরফান চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলেও ইকবাল হোসেন নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁকে কারাগারে নিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনো এ দেশে থেকে গেছে। তারা অন্য একটি দলের নাম দিয়ে এখনো চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদী আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন মোড়কে এখনো চাঁদাবাজি চলছে।

আরও পড়ুনসন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসককে মারধর, সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে ভিডিও১৫ ঘণ্টা আগে

বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, একজন চিকিৎসকের বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজেরা হামলা চালিয়েছে। সেখানে পুলিশ প্রশাসন ও সিডিএর পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনে একজন চিকিৎসকের ওপর হামলা হয়েছে। এটি চিকিৎসকদের জন্য উদ্বেগজনক। দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না আনলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ