সাবেক ফার্স্টলেডি এখন মেঝেতে ঘুমান
Published: 13th, August 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডি কিম কেওন হি বুধবার কারাগারে তার প্রথম দিন কাটাচ্ছেন, ঠিক যেমনটি তার স্বামী এবং সাবেক ইউন সুক ইওল কারাগারে বন্দি রয়েছেন। দেশটিতে একসময়ের হাই-প্রোফাইল এই দম্পতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার শুনানি চলছে।
কিমকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীর পশ্চিম প্রান্তে সিউল নাম্বু ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এটি তুলনামূলকভাবে নতুন সংশোধনাগার যা ২০১১ সালে খোলা হয়েছিল এবং একজন নারী ওয়ার্ডেন দিয়ে পরিচালিত।
বিষয়টির সাথে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, অন্যান্য বন্দিদের মতোই আচরণ করা হবে কিমের সঙ্গে। তবে একজন হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার মর্যাদার কারণে কিমের দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য পরিবর্তন আনা হবে।
ঘুষ, স্টক জালিয়াতি এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের চলমান তদন্তের মধ্যে প্রমাণ নষ্ট করতে পারে বলে আদালত মঙ্গলবার রাতে কিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করে। এরপরই তাকে আটক করে কারাগারে নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইউনের স্ত্রী কিম দক্ষিণ কোরিয়ায় বিএমডব্লিউয়ের ডিলার ডয়েচ মোটর্সের স্টকের মূল্য কারসাজির একটি পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ ডলারের মালিক হন। এছাড়া তিনি ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ফরাসি ফ্যাশন হাউজ চ্যানেলের দুটি হ্যান্ডব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস গ্রহণ করেছিলেন।
কিমের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং অনুগ্রহের বিনিময়ে তিনি যে কিছু উপহার পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে ভিত্তিহীন জল্পনা-কল্পনা সংবাদ প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, কারাগারে কিমের একক কক্ষে একটি ছোট টেবিল রয়েছে যা ডেস্ক ও খাবারের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ঘুমানোর জন্য মেঝেতে একটি ম্যাট্রেস দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তার স্নানের জন্য একটি পৃথক স্নানাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। রবিবার ছাড়া প্রতিদিন এক ঘন্টা বাইরে ব্যায়াম করার অনুমতি থাকবে তার।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে