দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডি কিম কেওন হি বুধবার কারাগারে তার প্রথম দিন কাটাচ্ছেন, ঠিক যেমনটি তার স্বামী এবং সাবেক ইউন সুক ইওল কারাগারে বন্দি রয়েছেন। দেশটিতে একসময়ের হাই-প্রোফাইল এই দম্পতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার শুনানি চলছে।

কিমকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীর পশ্চিম প্রান্তে সিউল নাম্বু ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এটি তুলনামূলকভাবে নতুন সংশোধনাগার যা ২০১১ সালে খোলা হয়েছিল এবং একজন নারী ওয়ার্ডেন দিয়ে পরিচালিত।

বিষয়টির সাথে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, অন্যান্য বন্দিদের মতোই আচরণ করা হবে কিমের সঙ্গে। তবে একজন হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার মর্যাদার কারণে কিমের দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য পরিবর্তন আনা হবে।

ঘুষ, স্টক জালিয়াতি এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের চলমান তদন্তের মধ্যে প্রমাণ নষ্ট করতে পারে বলে আদালত মঙ্গলবার রাতে কিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করে। এরপরই তাকে আটক করে কারাগারে নেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইউনের স্ত্রী কিম দক্ষিণ কোরিয়ায় বিএমডব্লিউয়ের ডিলার ডয়েচ মোটর্সের স্টকের মূল্য কারসাজির একটি পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ ডলারের মালিক হন। এছাড়া তিনি ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ফরাসি ফ্যাশন হাউজ চ্যানেলের দুটি হ্যান্ডব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস গ্রহণ করেছিলেন।

কিমের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং অনুগ্রহের বিনিময়ে তিনি যে কিছু উপহার পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে ভিত্তিহীন জল্পনা-কল্পনা সংবাদ প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

সূত্র জানিয়েছে, কারাগারে কিমের একক কক্ষে একটি ছোট টেবিল রয়েছে যা ডেস্ক ও খাবারের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ঘুমানোর জন্য মেঝেতে একটি ম্যাট্রেস দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তার স্নানের জন্য একটি পৃথক স্নানাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। রবিবার ছাড়া প্রতিদিন এক ঘন্টা বাইরে ব্যায়াম করার অনুমতি থাকবে তার।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত

এমন এক সময়ে যখন বেশিরভাগ মানুষ লেখার জন্য কিবোর্ড ব্যবহার করে, তখন হাতের লেখা কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ? ভারতীয় আদালতের মতে, অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, যদি সেই লেখক হন একজন চিকিৎসক।

ডাক্তারদের বাজে হাতের লেখা নিয়ে ভারতসহ সারাবিশ্বেই রসিকতা করা হয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রে এই লেখা কেবল ফার্মাসিস্টরাই বুঝতে পারেন, রোগী কিংবা অন্য কেউ নয়। কিন্তু স্পষ্ট হাতের লেখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি আদেশ জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মেডিকেল প্রেসক্রিপশন পাঠ একটি মৌলিক অধিকার।’ কারণ এটি জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করতে পারে।

আদালতের এই আদেশ এমন একটি মামলায় এসেছে, যেখানে লিখিত শব্দের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় একজন নারীকে ধর্ষণ, প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ ছিল এবং বিচারপতি জসগুরপ্রীত সিং পুরি জামিনের জন্য পুরুষের আবেদনের শুনানি করছিলেন।

ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, লোকটি তাকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তার ভুয়া সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং তাকে যৌন শোষণ করেছে।

অভিযুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাদের সম্মতিতে সম্পর্ক ছিল এবং অর্থ নিয়ে বিরোধের কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

বিচারপতি পুরি জানান, যখন ওই নারীকে পরীক্ষা করা এক সরকারি চিকিৎসকের মেডিকেল রিপোর্টটি দেখেন, তখন এর কিছুই তিনি বুঝতে পারেননি।

বিচারপতি তার আদেশে লিখেছেন, “এটি এই আদালতের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। কারণ একটি শব্দ বা একটি অক্ষরও স্পষ্টভাবে পড়া যায়নি।”

বিবিসি রায়ের একটি কপি দেখেছে যার মধ্যে প্রতিবেদন এবং দুই পৃষ্ঠার একটি প্রেসক্রিপশন রয়েছে। পুরো প্রেসিক্রিপশন ও রিপোর্ট অপাঠ্য।

বিচারপতি পুরি লিখেছেন, “যেহেতু প্রযুক্তি ও কম্পিউটার সহজলভ্য, তবুও এটা অবাক করার মতো যে সরকারি ডাক্তাররা এখনো হাতে প্রেসক্রিপশন লিখছেন যা সম্ভবত কিছু রসায়নবিদ ছাড়া অন্য কেউ পড়তে পারে না।”

আদালত সরকারকে মেডিকেল স্কুলের পাঠ্যক্রমের মধ্যে হাতের লেখার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ডিজিটালাইজড প্রেসক্রিপশন চালু করার জন্য দুই বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করতে বলেছে।

বিচারপতি পুরি জানিয়েছেন, যতদিন না এটি বাস্তবায়ন না হয়, ততদিন পর্যন্ত সব ডাক্তারকে বড় অক্ষরে স্পষ্টভাবে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • ঋণ আদায়ে লাগবে ৩৩৩ বছর
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ