স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের বাংলাদেশ পর্ব শুরু হচ্ছে আগামীকাল। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) আশুলিয়া ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা ১৫টি স্টার্টআপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পাবে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সেসকোতে অনুষ্ঠেয় স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের গ্লোবাল ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে দলটি। স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপে চূড়ান্ত পর্বে সেরা দল পাবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ বিশ্বজুড়ে মর্যাদাপূর্ণ স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা হিসেবে পরিচিত, যা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পেগাসাস টেক ভেঞ্চারসের উদ্যোগে ১০০টিরও বেশি দেশে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতা উদ্ভাবনী স্টার্টআপগুলোকে বিনিয়োগকারী, করপোরেট ব্যক্তিত্ব এবং প্রযুক্তি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার একটি অনন্য সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগ।

স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের বাংলাদেশ পর্বের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের প্রধান মো.

কামরুজ্জামান। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আশিক খান বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী ধারণা প্রদর্শনের একটি অসাধারণ সুযোগ। আমরা দেশের সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পেরে আনন্দিত।’

স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ বাংলাদেশ পর্বের চূড়ান্ত আসরে বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পেগাসাস টেক ভেঞ্চারসের পার্টনার উইলিয়াম রিচার্ট, এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজিম হাসান সাত্তার, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের পরিচালক নওশাদ মুস্তাফা, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শওকাত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিউদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক রকিবুল কবির এবং এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ নাসির।

বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এম আর কবির এবং সহ–উপাচার্য মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ নভেম্বর) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেনে বেশ কমেছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫৬.২৫ পয়েন্ট বা ৫.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭০২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৮৯.৩৬ পয়েন্ট বা ৪.৬০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৫১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬২.২৬ পয়েন্ট বা ৫.৯৯ শতাংশ কমে ৯৭৬ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৮৬.৮৪ পয়েন্ট বা ২০.৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭২৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯১৫ কোটি ৮৯ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার ৯৪১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৫০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, দর কমেছে ৩৬৩টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ৩০টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৫৭.৩১ পয়েন্ট বা ৩.৯৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪০১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৯১ শতাংশ কমে ১২ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ৩.৪৪ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ৩.৫১ শতাংশ কমে ৮৪৪ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১১.৩৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ৫৭২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৭২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, দর কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা