ডারউইনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গ করায় দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার করবিন বোশকে শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

ঘটনাটি ঘটে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১৭তম ওভারে। ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তখন অস্ট্রেলিয়া হারের দ্বারপ্রান্তে। ওই সময় বোশ দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার বেন ডোয়ারশুইসকে, যিনি মাত্র ৭ বলে ১২ রানের ছোট্ট ঝড় তুলেছিলেন।

উইকেট নেওয়ার পর বোশ সরাসরি তাকিয়ে ইশারা করেন অস্ট্রেলিয়ার ডাগআউটের দিকে। যেন ডোয়ারশুইস চুপচাপ ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি মনে করেন, বোশের এই অঙ্গভঙ্গি প্রতিপক্ষকে উসকে দেওয়ার মতো ছিল। যদিও ডোয়ারশুইস শান্ত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

ব্রেভিসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে র‌্যাঙ্কিংয়ে রেকর্ড লাফ

৩৪ বছরের অপেক্ষার অবসান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়

ফলে বোশ দোষী সাব্যস্ত হন আইসিসির আচরণবিধির ২.

৫ ধারা ভঙ্গের জন্য। যেখানে বলা আছে— আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোনো বোলার ব্যাটসম্যান আউট করার পর এমন ভাষা, ভঙ্গি বা আচরণ করতে পারবেন না যা তাকে হেয় করে বা আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া উসকে দিতে পারে।

এ কারণে বোশকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

ম্যাচের কথা বলতে গেলে— দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সমতা ফেরায় অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩ রানে হারিয়ে। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা ২০ ওভারে তোলে ২১৮ রান। জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচ সিরিজের ফয়সালার লড়াই হবে আগামী ১৬ আগস্ট একই ভেন্যুতে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান

এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।

আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।

কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ