ত্বকে চুলকানি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আশপাশে অনেকেই এ সমস্যায় ভুগছেন। কারও কারও চুলকানি এতটাই মারাত্মক হয়ে যায় যে জীবনযাত্রাও ব্যাহত হয় । বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন যে শরীর চুলকানো মানেই অ্যালার্জি। এটা ঠিক যে অ্যালার্জি বেড়ে গেলে শরীর চুলকায়, অস্বস্তি হয়। তবে চুলকানি মানেই যে অ্যালার্জি, সেটা ঠিক নয়। অনেক চর্মরোগ আছে, যাতে সারা শরীর চুলকায়; স্ক্যাবিস এসবের মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে স্ক্যাবিসের রোগী অনেক। সম্প্রতি স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে অতিমাত্রায়।

স্ক্যাবিস কী

স্ক্যাবিস একটি সাধারণ চর্মরোগ, যার অন্যতম লক্ষণ সারা শরীর চুলকানো। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে বা তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যবহার করলে (পোশাক, বিছানা, তোয়াল ইত্যাদি) দ্রুত অন্যজনে সংক্রমিত হতে পারে। এই রোগ হয় ক্ষুদ্র পরজীবী সারকোপটিস স্ক্যাবির মাধ্যমে। এই পরজীবীকে খালি চোখে দেখা যায় না।

আরও পড়ুনছেলে আবার বিয়ের অনুষ্ঠান করলেন, সেখানে কেন যাননি ডেভিড ও ভিক্টোরিয়া বেকহাম৩ ঘণ্টা আগেযেভাবে স্ক্যাবিস বুঝবেন

স্ক্যাবিসের রোগীদের তীব্র চুলকানি হয়, বিশেষ করে রাতে এই উপসর্গ বেড়ে যায়। চুলকানির কারণে অনেকে ঘুমাতেও পারেন না। ত্বকে ছোট ছোট লাল দানা বা ফুসকুড়ির মতো হতে পারে। চুলকানি ও দানাগুলো শরীরের কিছু বিশেষ অংশে, যেমন আঙুলের ফাঁক, কনুই, কোমর, নাভির পাশে, কুঁচকিতে, যৌনাঙ্গে, নারীদের স্তনের নিচে বেশি হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মাথা ও মুখেও হতে পারে। শিশু ছাড়া যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, তাঁরা স্ক্যাবিসে বেশি আক্রান্ত হন।

চিকিৎসা কী

স্ক্যাবিসের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ আছে, যা প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এসব ওষুধ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে সেরে ওঠা সম্ভব। পরিবারের অন্য কেউ যদি স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হন, তাঁকেও চিকিৎসা দিতে হবে। এ ছাড়া শরীর যাতে কম চুলকায়, তার জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। স্ক্যাবিসের কিছু ধরন বেশ অপ্রতিরোধ্য হয়, সে ক্ষেত্রে আলাদা কিছু ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।

আরও পড়ুনজিমে কেন হার্ট অ্যাটাক হয়২৮ জুলাই ২০২৫প্রতিরোধ

স্ক্যাবিস চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিরোধের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা জরুরি। যে পরজীবীর মাধ্যমে এটি ছড়ায়, সেটি কাপড়চোপড়, বিছানার চাদর, বালিশ ও ব্যবহার্য জিনিসপত্রে থেকে যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে সেটি আবার সংক্রমিত করতে পারে। সে কারণে এসব জিনিস গরম পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। কাপড় কড়া রোদে শুকাতে হবে অথবা ইস্ত্রি করে নিতে হবে।
স্ক্যাবিস অবহেলা করার মতো রোগ নয়। অনেকেই রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে বা চিকিৎসককে না দেখিয়ে নিজে নিজে কিছু ক্রিম ব্যবহার করে এ রোগকে আরও জটিল করে ফেলেন। তাই চুলকানি, ফুসকুড়ি যা–ই হোক, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুনকিডনি ভালো রাখতে রোজ কয় লিটার পানি খাবেন১১ আগস্ট ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর চ লক ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’

প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।

নতুন কুঁড়ির এ ছবিটি অভিনেত্রী শাওন ফেসবুকে শেয়ার করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ