পাথর উত্তোলন ঠেকাতে পাঁচ সিদ্ধান্ত, দোষীদের করা হবে গ্রেপ্তার
Published: 13th, August 2025 GMT
সিলেটের পাথর কোয়ারি ও পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর উত্তোলন ঠেকাতে পাঁচটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে আছে তল্লাশিচৌকি স্থাপনের পাশাপাশি পাথর লুটে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটা থেকে রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। এতে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক থেকে সর্বসম্মতিতে পাঁচটি সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো, জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে; গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে যৌথ বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে; পাথর ভাঙার অবৈধ যন্ত্রের বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের অভিযান চলবে; পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে; চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ রাত ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসন পাথর লুটপাট ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান করেছে। এরপরও পাথর লুট হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব সিদ্ধান্ত এখন থেকেই কার্যকর করা হবে। দ্রুতই এর ফল দেখা যাবে। যেকোনো মূল্যে ‘পাথরখেকো’ চক্রের অপতৎপরতা ঠেকানো হবে।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেয় সরকার। স্থানীয় সূত্র বলছে, এর পর থেকে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলত। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সিলেটের সব কটি কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েক হাজার পাথরশ্রমিক প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন শুরু করে।
অবাধে লুটপাটের কারণে কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, সংরক্ষিত বাঙ্কার এলাকা এবং গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকা অনেকটাই পাথরশূন্য হয়ে পড়ে। সর্বশেষ গত চার মাস ধরে সাদাপাথর এলাকায় পাথর উত্তোলন শুরু হয়। গত এক সপ্তাহে চরম লুটপাটের কারণে সাদাপাথর এলাকা প্রায় পাথরশূন্য হয়ে পড়ে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যাচেষ্টা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১০ দিন বয়সী সন্তানকে বর্ণি বাওড়ের পানিতে ফেলে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মা রিয়া বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বর্ণি বাওরের মধ্যপাড়া খেয়াঘাট এলাকায় ঘটানাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় গলাকেটে বাবাকে হত্যার অভিযোগ ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে
শরীয়তপুরে জমি নিয়ে বিরোধে শিশু তায়েবা খুন: এসপি
রিয়া বিশ্বাস টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর উত্তরপাড়ার হরিচাদ বিশ্বাসের স্ত্রী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, হরিচাদ বিশ্বাসের স্ত্রী রিয়া বিশ্বাস কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। গতকাল সন্ধ্যার পর তিনি তার ১০ দিন বয়সী কন্যাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বর্নি মধ্যপাড়া খেয়াঘাট এলাকায় বর্ণি বাওড়ে নিজের সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করতে পানিতে ঝাঁপ দেন রিয়া। এসময় এলাকার কয়েকজন লোক তাকে পানিতে ভাসতে দেখে নৌকা নিয়ে উদ্ধার করেন। তাদের কাছে মেয়েকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলে জানান রিয়া।
তিনি আরো জানান, পুলিশে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাওড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। শিশুটির মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ