আমেরিকা নানা বৃত্তি ও ফেলোশিপের মধ্য অন্যতম একটি হলো ‘ফুলব্রাইট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট’ (এফএলটিএ) প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের আবেদনের শেষ দিন ছিল ৩১ জুলাই। যারা কোনো কারণে আবেদন করতে পারেননি, তাদের জন্য ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সুযোগ দিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি তরুণ যাঁরা শিক্ষকতা করছেন (আমেরিকার স্টাডিজ, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া, আমেরিকান/ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা ভাষার প্রশিক্ষক) তাঁরা ফুলব্রাইট এফএলটিএ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (আইআইই) এই প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে এফএলটিএ স্কলারশিপের মাধ্যমে দেশটিতে শিক্ষকতার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় শিক্ষকতার সুযোগ দিতেই বৃত্তি। যাঁরা স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা করতে চান, সেসব বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীর জন্য এটি একটি সুযোগ। বাংলাদেশি যেসব তরুণ শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত আছেন (আমেরিকার স্টাডিজ, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া, আমেরিকান/ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা ভাষার প্রশিক্ষক), তাঁরা ফুলব্রাইট এফএলটিএ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশের স্বীকৃত কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। টোয়েফলে ন্যূনতম ৮০ কিংবা আইইএলটিএসে ন্যূনতম সাত স্কোর থাকতে হবে।সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ভাষা ক্লাসে সহায়তা, সেমিস্টারে কোর্স দুটি—

ফুলব্রাইট এফএলটিএ প্রোগ্রামে আমেরিকায় যাওয়া ফেলোরা সেখানকার শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা শেখাবেন। ফেলো এবং তাঁদের শিক্ষার্থীদের একে অপরের সংস্কৃতি ও সমাজ সম্পর্কে জানার একটি অনন্য সুযোগ থাকবে এ প্রোগ্রামে। ফুলব্রাইটে অংশগ্রহণকারীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ভাষা ক্লাসে সহায়তা করতে পারবেন। প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে দুটি কোর্স করবেন। এর মধ্যে একটি আমেরিকান স্টাডিজের। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশি শিক্ষাবিদেরা আমেরিকার এই শিক্ষা বিনিময় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছেন।

*কারা আবেদন করতে পারবেন—

ফুলব্রাইট এফএলটিএ প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে আগ্রহী প্রার্থীদের—

*বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাত বছরের বেশি সময় ধরে ইংরেজি বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

*বাংলাদেশের স্বীকৃত কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।

*ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে।

*টোয়েফলে ন্যূনতম ৮০ কিংবা আইইএলটিএসে ন্যূনতম সাত স্কোর থাকতে হবে।

*আবেদনকারীকে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।

*পূর্ণাঙ্গ আবেদন করতে হতে আগ্রহীদের।

বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা—

৯ মাস মেয়াদি নন-ডিগ্রি এ প্রোগ্রামে বৃত্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিনা খরচে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা শেখাবেন। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। পেশাগত দক্ষতা অর্জন ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

বিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিতবিনা খরচে ২ লাখ টাকার আইটি প্রশিক্ষণ, ফাজিল–কামিলের শিক্ষার্থীদেরও সুযোগজার্মানিতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ: বিশ্বসেরা গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগআবেদনের পদ্ধতি—

*অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

*একাডেমিক নম্বরপত্র (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর)।

*তিনজন সুপারিশকারী পৃথকভাবে অনলাইন আবেদন পোর্টালে সরাসরি তিনটি সুপারিশপত্র আপলোড/উপস্থাপন করবেন।

*একাডেমিক রেকর্ডবিষয়ক তথ্যাদির ফরম (অনলাইন আবেদন সাইটে পাওয়া যাবে)।

*টোয়েফল/আইইএলটিএসের স্কোরের সনদ।

আবেদন শেষ কবে—

প্রথমে আবেদনকারীকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। নির্দেশাবলি অনুসরণ করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা। ওই দিন বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

*আবেদনের বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন

*আবেদনের নির্দেশনার বিস্তারিত তথ্য দেখুন এখানে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ক ষকত র আম র ক র ন য নতম র জন য প রব ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন ‘আগ্রাসনের’ হুমকি, জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত ভেনেজু

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আগ্রাসনের’ হুমকির প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে প্রস্তুত।

সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলার সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সোমবার এ মন্তব্য করেন। খবর আলজাজিরার।

আরো পড়ুন:

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করল ওরেগন

যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় বন্দুক হামলা, নিহত ৪

মাদুরো এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “আমেরিকান সাম্রাজ্য ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা চালালে, যাতে আমাদের জনগণ এবং দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা যায়, সে লক্ষ্যে সংবিধানের আলোকে একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে আজ আমরা পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু করেছি।”

এর আগে ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বিদেশি কূটনীতিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট মাদুরো একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের মাতৃভূমিকে আক্রমণ করার দুঃসাহস দেখায়, তবে এই ডিক্রি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তাকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ‘বিশেষ ক্ষমতা’ প্রদান করবে।”

এই ডিক্রি মাদুরোকে সারা দেশে সৈন্য মোতায়েনের অনুমতি দেবে এবং জনসেবা ও তেল শিল্পের ওপর সামরিক কর্তৃত্ব দেবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভেনেজুয়েলর উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন ও এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযানকে মাদক পাচার মোকাবিলার একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দাবি করলেও, বিশ্লেষকদের মতে এটি মাদুরোর ওপর চাপ তৈরির কৌশল।

সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলার আন্তর্জাতিক জলসীমায় কমপক্ষে তিনটি নৌযানে বোমা হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। দাবি করেছে, সবগুলো নৌকা ‘অবৈধ মাদক পাচার করছিল’।

এসব হামলায় ভেনেজুয়েলার কমপক্ষে ১৭ নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভেনেজুয়েলা বলছে যে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। মাদুরোর নেতৃত্বধীন ভেনেজুয়েলা সরকার দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ‘সাম্রাজ্যবাদের’ বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসছে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, বিদ্যমান পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা ‘ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে মাদক পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তু’ করার লক্ষ্যে বিমান হামলার পরিকল্পনা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারে ভেনেজুয়েলার বড় ভূমিকা থাকার মার্কিন দাবি প্রত্যাখ্যান করে মাদুরো বলেছেন, তিনি চান দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘ঐতিহাসিক এবং শান্তিপূর্ণ’ হোক।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্কিন ‘আগ্রাসনের’ হুমকি, জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত ভেনেজু