পাকিস্তানের করাচিতে আকাশে গুলি ছুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি ও আট বছরের একটি শিশু রয়েছে। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানান।

করাচিজুড়ে এভাবে ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন অন্তত ৬৪ জন।

শহরের আজিজাবাদ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই মেয়েশিশু ও কোরাঙ্গি এলাকায় স্টিফেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, করাচির লিয়াকতাবাদ, কোরাঙ্গি, লায়ারি, মেহমুদাবাদ, আখতার কলোনি, কেমারি, জ্যাকসন, ওরাঙ্গি টাউন, পাপোশ নগর, শরিফাবাদ, জামান টাউন, উত্তর নাজিমাবাদসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে মানুষের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এসেছে।

এসব ঘটনায় ২০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। মোমিনাবাদ, লিয়াকতাবাদ, সামানাবাদ, ওরাঙ্গি টাউনসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র আর গোলাবারুদ জব্দ করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। হতাহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

আজ ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করছেন পাকিস্তানবাসী। দিবসটি উদ্‌যাপন করতে গিয়ে এভাবে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনাকে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ বলছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও নিরাপদ উপায়ে উদ্‌যাপনের জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে, হতাহতের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনায় কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগে গত বছর একইভাবে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করতে গিয়ে করাচিতে অন্তত ৯৫ জন আহত হয়েছিলেন। এর আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ৮০।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব ধ নত র ঘটন ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ভিশনএক্স: এআই পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ‘ভিশনএক্স’-এ দুটি ট্র্যাক ছিল। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে ৪১টি উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে এআই–ভিত্তিক প্রকল্প ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিযোগিতায় পুরস্কার—

প্রতিযোগিতার প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রথম রানার্সআপ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে লিডিং ইউনিভার্সিটি ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানার্সআপ ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ টাকা ও ২ দিনের ব্যাংকক ভ্রমণ, প্রথম রানার্সআপ দল ৮০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুবিধা পেয়েছে।

প্রতিযোগিতায় অতিথি ছিলেন—

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং ইউএস–বাংলা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

অতিথিদের কথা—

উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও মননশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং জনস্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তাত্ত্বিক জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি এর প্রায়োগিক সফলতা নিয়েও কাজ করতে হবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণেরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ