করাচিতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনকালে নিহত ৩
Published: 14th, August 2025 GMT
পাকিস্তানের করাচিতে আকাশে গুলি ছুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি ও আট বছরের একটি শিশু রয়েছে। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানান।
করাচিজুড়ে এভাবে ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন অন্তত ৬৪ জন।
শহরের আজিজাবাদ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই মেয়েশিশু ও কোরাঙ্গি এলাকায় স্টিফেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, করাচির লিয়াকতাবাদ, কোরাঙ্গি, লায়ারি, মেহমুদাবাদ, আখতার কলোনি, কেমারি, জ্যাকসন, ওরাঙ্গি টাউন, পাপোশ নগর, শরিফাবাদ, জামান টাউন, উত্তর নাজিমাবাদসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে মানুষের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এসেছে।
এসব ঘটনায় ২০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। মোমিনাবাদ, লিয়াকতাবাদ, সামানাবাদ, ওরাঙ্গি টাউনসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র আর গোলাবারুদ জব্দ করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। হতাহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আজ ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করছেন পাকিস্তানবাসী। দিবসটি উদ্যাপন করতে গিয়ে এভাবে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনাকে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ বলছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও নিরাপদ উপায়ে উদ্যাপনের জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, হতাহতের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনায় কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে গত বছর একইভাবে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করতে গিয়ে করাচিতে অন্তত ৯৫ জন আহত হয়েছিলেন। এর আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ৮০।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব ধ নত র ঘটন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
১৯ শতকে স্যুটকেস যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো
১৯ শতকের আধুনিক জীবন যাপনের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছিলো স্যুটকেস। আজকের দিনে যেমন— কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সঙ্গী হয় ট্রলি ব্যাগ। সে সময় সঙ্গী হতো স্যুটকেস। বর্তমানে ট্রলি ব্যাগে কফির কাপ রাখার জায়গা থেকে শুরু করে মোবাইল চার্জিংয়ের ব্যবস্থাও থাকে। এতোটা সুযোগ সুবিধা আবার স্যুটকেসে ছিলো না।
এখনও অনেক বাড়িতে পুরনো স্যুটকেস রয়ে গেছে। শক্ত কভারের স্যুটকেসে থাকত তালাচাবি দেওয়ার ব্যবস্থা। এতে সহজেই নিজের জিনিস পত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেত। কোনো কোনো স্যুটকেসের সঙ্গেই তালা থাকত।
১৯ শতকের দিকে কোথায় ঘুরবে বা বেড়াতে গেলে সাধারণত ফর্মাল বা আনুষ্ঠানিক পোশাক পরার চল ছিলো। সে সব পোশাক এমন যত্নে রাখতে হতো, যাতে কুঁচকে না যায়। লোকসমাজে কুঁচকানো পোশাক পরাকে মানসম্মত উপায় মনে করা হতো না। পোশাক যত্ন সহকারে সংরক্ষণ ও বহন করার জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ট্রাঙ্কের মতো আয়তাকার স্যুটকেস। মূলত তরুণেরাই এই অনুসঙ্গটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলো।
আরো পড়ুন:
ভারতের যে গ্রামের পুরুষরা দুই বিয়ে করেন
আধা ঘণ্টার বেশি মোবাইল দেখার সুযোগ নেই, ক্ষুব্ধ সন্ন্যাসীরা
ঢাকা/লিপি