পাকিস্তান শাহীনসের তাণ্ডবে বাংলাদেশের সামনে ২২৮ রানের পাহাড়
Published: 14th, August 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে জমজমাট আয়োজনে পর্দা উঠল টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ-২০২৫ এর। উদ্বোধনী ম্যাচেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে চরম পরীক্ষার মুখে ঠেলে দিলো পাকিস্তান শাহীনস। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ২০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করেছে বিশাল ২২৭ রান। অর্থাৎ জিততে হলে সোহানদের করতে হবে ২২৮ রান।
টস হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল একেবারেই হতাশাজনক। শাহীনসের দুই ওপেনার খাজা নাফে ও ইয়াসির খান প্রথম ১০ ওভারে বোলারদের রীতিমতো বিপর্যস্ত করে ফেলেন। ইনিংসের ১২তম ওভারে অবশেষে রান আউটের মাধ্যমে নাফেকে ফিরিয়ে কিছুটা স্বস্তি পায় টাইগার শিবির। ততক্ষণে তার ব্যাটে ৩১ বলে আসে দাপুটে ৬১ রান। দলীয় রান তখন ১১৮।
পরের ওভারেই ফেরেন আরেক ওপেনার ইয়াসির খান, ৪০ বলে ৬২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে। কিন্তু এই দুই ব্যাটারের পরও থামেনি পাকিস্তানের রানের উৎসব। তিনে নামা আবদুল সামাদ খেলেন বিধ্বংসী ইনিংস, মাত্র ২৩ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই ব্যাটার সাইফ হাসানের এক ওভারেই হাঁকান চারটি ছক্কা, যা থেকে আসে ২৬ রান।
আরো পড়ুন:
বাগদান সারলেন শচীনপুত্র অর্জুন, পাত্রী কে?
সায়মন টাফেল আসছেন তো?
শেষদিকে সামাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইরফান খান খেলেন ছোট কিন্তু কার্যকর ক্যামিও, ১২ বলে করেন ২৫ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হলেও তখন পাকিস্তানের সংগ্রহ ২০০ পেরিয়ে অনেক দূরে।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা আবদুল সামাদ ২৭ বলে ৫৬ রানে ইনিংস শেষ করেন। সব মিলিয়ে ২২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য এখন তাড়া করার চ্যালেঞ্জে নামবে নুরুল হাসান সোহানের দল।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ