অতিরিক্ত বিশ্রাম থেকে কি মাইগ্রেন হতে পারে
Published: 14th, August 2025 GMT
কেন মাইগ্রেন হয়
ঠিক কী কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা ওঠে, তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। মাইগ্রেনের পেছনে কাজ করতে পারে একাধিক কারণ। তবে চিকিৎসকেরা সাধারণত অতিরিক্ত চাপকেই কারণ হিসেবে ধরে থাকেন।
অতিরিক্ত কাজ কিংবা কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে মাইগ্রেন আক্রমণ হয় বেশি। এ ক্ষেত্রে সাধারণত চিকিৎসকেরা বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। আলো কিংবা শব্দ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে যথাসম্ভব বিশ্রাম নিলেই ধীরে ধীরে কমে আসে মাইগ্রেন।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই বিশ্রাম থেকেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘ সময় ছুটি কাটানো কিংবা আরাম করতে করতে মাইগ্রেন আক্রমণ করে বসতে পারে।
তবে বেশি আরাম করলেই যে মাইগ্রেন হবে, ব্যাপারটি তেমনও নয়।
আরও পড়ুনডাবের পানি সবার জন্য নয়, কারা এবং কেন অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন৬ ঘণ্টা আগেবিশ্রাম নয়, অতিরিক্ত বিশ্রামই দায়ীবিশ্রাম নিজে থেকে মাইগ্রেন তৈরি করে না; বরং অনিয়মিত বিশ্রামের ফলে মাইগ্রেন তৈরি হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, দীর্ঘদিন টানা কাজের পর হুট করে বিশ্রাম নিলে শরীর ছেড়ে দেয়, তেমনই মস্তিষ্কও বিশ্রাম নিতে শুরু করে।
সমস্যা হলো মস্তিষ্ক অভ্যাসের দাস, টানা কাজ করতে করতে মস্তিষ্ক যখন বিশ্রামের সুযোগ পায়, তখন হুট করে তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারে। ফলে চাপ কমে গেলে অনেক সময় সেখান থেকে মাইগ্রেন তৈরি হতে পারে।
দীর্ঘদিনের কাজের চাপ থেকে হঠাৎ লম্বা ছুটির আমেজে চলে যাই আমরা। তখন শরীরের এই রুটিন পরিবর্তন অনেক সময় মাইগ্রেনকে ডেকে আনে।
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত বিশ্রাম কোনো সমস্যা নয়; বরং বিশ্রামের অনিয়মিত সময়সূচি অথবা রুটিনে হঠাৎ পরিবর্তনই এর মূল কারণ।
আরও পড়ুন৮ বছর আগে যেমন ছিল সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র, দেখুন ২০টি ছবি৪ ঘণ্টা আগেতাই বলে বিশ্রাম নেবেন না?ব্যাপারটা তেমন নয়; বরং শরীরকে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে হবে সময়ের সঙ্গে। টানা কাজের চাপ থাকলেও চেষ্টা করবেন ছোট ছোট বিরতি নিয়ে সেসব কাজ শেষ করতে। এতে শরীর বিশ্রামের সঙ্গে মানানসই থাকবে। হুট করে শরীর ছেড়ে দিলে মস্তিষ্ক তালগোল পাকিয়ে ফেলবে না।
তবে এটাও মনে রাখবেন, এ ধরনের মাইগ্রেন খুব বিরল; কালেভদ্রে দেখা যায়। যাঁদের নিয়মিত মাইগ্রেন হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায় না বললেই চলে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক চাপ, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ও অনিয়মিত ঘুমের মতো পরিচিত কারণগুলোই মাইগ্রেনের জন্য দায়ী।
তাই ছুটি বা আরাম করার সময় এসব বিষয় মাথায় রাখলে আপনি মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক
আরও পড়ুনআইপিএস ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার ৫টি কার্যকর উপায়২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।
ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’
শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।