রূপগঞ্জ উপজেলার বেড়িবাধ এালাকায় গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি খাল দখলসহ সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করছে।

তাতে কাঞ্চন পৌরসভা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে প্রায় হাজারো মানুষ পানি বন্দি রয়েছেন। জলাবদ্ধতায় একদিকে স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না অন্যদিকে পচাঁ পানি ছড়িয়ে পড়ায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক মানুষ।

জনগনের ভোগান্তি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার পর বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কয়েকটি জলাবদ্ধ গ্রাম পরিদর্শন করেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এলাকা পরিদর্শনকালে সরকারি খাল দখল, বালু ভরাট, ও সরকারি খাল দখল করে বালুর গদি নির্মাণ, ফ্যাক্টরি নির্মাণসহ নানা অভিযোগের সত্যতা খুজে পান। পরে কয়েকটি খাল তাৎক্ষনিক দখল মুক্ত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদর দপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল মোহাম্মদ শামীম, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাশেদ, পুর্বাচল রাজস্ব সার্কেলের সহকারি কমিশনার তাছবীর হোসেন সুজাসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিত্বে সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাছবীর হোসেন জানান, কাঞ্চন পৌরসভা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হাটাবো টেকপাড়া, কালাদি, নলপাথর, নরাবো, কোশাব, আইতলা, ডুলুরদিয়া গ্রামে প্রায় হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের কৃষি জমিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছোট বড় সব মিলিয়ে কয়েকটি খাল রয়েছে। 

এসব খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি সড়ে যেতো। খালের উপর একাধিক আবাসন প্রকল্প, বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরিসহ নানা স্থাপনা নির্মান করায় পানির চলাচল বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সরেজমিনে এসে যত জবরদখল ও স্থাপনা ছিল তাদেরকে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ভরাটকৃত খালগুলো দ্রুত খনন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইষ্টউড আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, আমাকে ৩ মাসের সময় দেয়া হয়েছে, সে সময়ের আগেই সরকারী খাল খনন করে দিবো। এছাড়া নিয়মকানুন মেনে সকল প্রকার কার্যক্রম চালাবো।

ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদর দপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল শামীম বলেন, ইষ্টউড আবাসন কোম্পানীতে সরকারি খাল ভরাটের সত্যতা পাই। কয়েকটি খাল ভেকু দিয়ে খনন করে দখলমুক্ত কার্যকক্রম শুরু করা হয়। কোম্পানীকে তিনমাসের সময় দেওয়া হয়েছে দখলকৃত সবগুলো খাল খনন করে দিতে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গে আরো ২৬ বাংলাদেশি জেলে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে আরো ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও। 

রবিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার রাতে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

সৌদিতে বাস-ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। 

এর আগে, শনিবার রাতে, ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এখন, আবারও, রবিবার ভোরে, আরো ২৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হলো।

যদিও বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, ভারতীয় জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখায় যে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করছে এবং ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করছে। ফলে উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে কোস্টগার্ড এবং পুলিশ প্রশাসন।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ