রাকসু নির্বাচনে একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনসহ ৩ দাবিতে গণ–অনশন
Published: 14th, August 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে আবাসিক হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে একাডেমিক ভবনে স্থাপনসহ তিন দফা দাবিতে গণ–অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
নেতা–কর্মীদের অন্য দাবিগুলো হলো, সাইবার বুলিং রোধে একটি কার্যকর সেল গঠন করতে হবে এবং ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের গ্রুপসহ অনলাইনে ‘অপপ্রচার’ চালানো বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ বন্ধ করতে হবে, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলা ও বিভিন্ন ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত ব্যক্তিদের ভোটাধিকার বাতিল করতে হবে এবং ছবিসহ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে উল্লেখ করে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, ‘আমরা সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যেক শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রাহ্য না করে নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, হল থেকে ভোটকেন্দ্র স্থানান্তর করে একাডেমিক ভবনে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি আদায় হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত গণ–অনশন চলবে। প্রয়োজনে এই ক্যাম্পাস থেকে আমাদের লাশ বের হবে। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠব না।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘আজ আমরা তিন দফা দাবি নিয়ে এখানে বসেছি। আগেও আমরা রাকসুর অংশীজনেরা নানাভাবে দাবি জানিয়ে আসছি ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে করা হোক। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, প্রায় সব অংশীজনের জোরালো আপত্তি সত্ত্বেও তারা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। এর প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি।’
অনশনে বসা অন্য নেতারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া (শুভ), ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) কোষাধ্যক্ষ কাইসার আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের সদস্যসচিব ওয়াজিদ শিশির প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ টক ন দ র স থ এক ড ম ক ভবন
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র সংসদের দাবিতে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৃঢ অবস্থান
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (মাকসু) প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমরণ ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে অপরাধ তত্ত্ব ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী আক্তারুজ্জামান সাজু আমরণ অনশন শুরু করেন। তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতীকী অনশনে অংশ নেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মসূচি চলছে। অনশনরত আক্তারুজ্জামান অসুস্থ হওয়ায় স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবির অন্যতম হলো দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা। এই লক্ষ্যেই ২১ জুলাই তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবিপত্র দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও রিজেন্ট বোর্ড থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
পরবর্তীতে ২ আগস্ট প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে ১০ আগস্টের মধ্যে রিজেন্ট বোর্ডে প্রস্তাবটি পাস করানোর আহ্বান জানানো হয়। তবে সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও দাবি বাস্তবায়িত হয়নি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন।
অনশনস্থলে শিক্ষার্থীরা “ভাত নয়, আইন খাবো”, “তালা ভাঙছি, মাকসু আনবো”, “ইনকিলাব জিন্দাবাদ”সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
গতকাল রাত ১০টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করীম বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিটি পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ডে তুলব। যদি তখনও সমাধান না আসে, তারা পরবর্তী কর্মসূচি নিতে পারেন। আমরা অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেছি এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি যেন কোনো নিরাপত্তা বা স্বাস্থ্যঝুঁকি না হয়।”
বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের আবেদনের বিষয়ে প্রশাসন আলোচনা করেছে এবং একটি মিটিংও হয়েছে। আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কীভাবে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে, সেই প্রক্রিয়া চলছে।”
ঢাকা/আবিদ/ইভা