ঢাকার কেরানীগঞ্জে রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ জন গাড়িচালকের নামে দেওয়া প্লট বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিধিমালার ব্যত্যয় করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাঁদেরকে মোট ৫১ কাঠার প্লট দেওয়া হয়েছিল।

আজ বৃহস্পতিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো.

নুরুল আমিনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে জরুরি ভিত্তিতে এসব প্লট বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি সম্প্রতি তাঁদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আবেদনকারীরা ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের আবেদন না করেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পের নির্ধারিত কোটার সীমা অতিক্রম করে এবং বিধিমালা লঙ্ঘন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১৫ জন গাড়িচালকের নামে দেওয়া সাময়িক বরাদ্দের আদেশ বাতিলের সুপারিশ করা হয়।

যাঁদের প্লট বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গাড়িচালক বোরহান উদ্দিন, মো. বেলাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, মতিউর রহমান, নুর হোসেন, মাহবুব হোসেন, মো. শাহীন, মিজানুর রহমান, বাচ্চু হাওলাদার, নুরুল ইসলাম ও রাজন মাদবর। তাঁদের নামে তিন কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাড়িচালক নুরুল আলম, নুর নবী ও মো. শাহীনের নামে বরাদ্দকৃত ৫ কাঠার প্লটও বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুনসাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ: দুদক২৪ জুলাই ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ড় চ লক চ লক র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ