Prothomalo:
2025-08-14@17:22:13 GMT

আমার রেসিংয়ের পূর্ণাঙ্গ গল্প

Published: 14th, August 2025 GMT

আমার রেসিং যাত্রা শুরু হয়েছিল তখন, যখন আমি ছিলাম ছোট একটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই যখন বুঝতে শিখলাম গাড়ি আসলে আমার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তখন থেকেই আমি গাড়ি নিয়ে খেলা শুরু করি। সেই সময় আমাদের অবস্থা খুব একটা সচ্ছল ছিল না—আমি বলব না আমরা গরিব ছিলাম, তবে পরিপূর্ণও ছিলাম না। তাই খেলনা গাড়ি না পেয়ে আমি আর আমার বড় ভাই একসঙ্গে শার্পনার আর রাবার দিয়ে গাড়ির মতো করে খেলা করতাম।

ধীরে ধীরে বড় হতে হতে আমি টেলিভিশনে রেস দেখা শুরু করি। তখন টেলিভিশন মানেই ছিল স্টার স্পোর্টস আর ফর্মুলা ওয়ান দেখা। তবে শর্ত ছিল একটাই—আমার পড়ালেখার ফল ভালো হতে হবে, তাহলে তবেই আমাকে রেসিং দেখতে দেওয়া হতো।
আমার যখন আট বা নয় বছর বয়স, তখন থেকেই গাড়ি চালানো শেখা শুরু করি। আর দশ বছর বয়সে আমি পুরোপুরি ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ি চালাতে পারতাম। আমি যে গাড়িটিতে গাড়ি চালানো শিখি, সেটি ছিল ১৯৯১ সালের টয়োটা করোনা ইএক্স–ফোর।
আমার বাবা গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাই বাসায় নতুন মডেলের গাড়ি আসা-যাওয়া করত নিয়মিত। এটা আমার গাড়ির প্রতি আগ্রহকে আরও বাড়িয়েছিল। যখন আমি ও-লেভেলস এবং এ-লেভেলস করছিলাম, তখন আমি বুঝতে পারি যে গাড়ি আমার একান্ত ভালোবাসা, আর আমি এটা নিয়ে ভবিষ্যতে পেশাগত কিছু করতে চাই।
কিন্তু সেই সময় বাংলাদেশে রেসিংয়ের তেমন কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না। তাই বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিলেন, আমি যেন অর্থনীতিতে পড়ি। আমি তাঁদের কথা রাখি এবং কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাই। সেখানে বিভিন্ন খণ্ডকালীন কাজ করি—বিউটি প্রোডাক্ট ডেলিভারি, লাইব্রেরি সহকারী, লাইন কুক, কল সেন্টার—সবই করতাম, যাতে নিজের প্রথম ট্র্যাক কার কিনতে পারি। আমি একটি হোন্ডা সিভিক হ্যাচব্যাক কিনি, টাইপ আর ছিল না। মডিফাই করে তা দিয়ে রেসিং শুরু করি এবং পারফরম্যান্স দেখে সবাই মুগ্ধ হতো।

কানাডার রেসিং স্কুলে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে ইউটিউব মাতাল সেই ফ্লপ সিনেমা

হলে মুক্তির পর সেভাবে পাত্তা পায়নি। কিন্তু সেই সিনেমাই ইউটিউবে আসার পর হুমড়ি খেয়ে পড়লেন দর্শক। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকার কারণেই সিনেমাটি ইউটিউবে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পরিণত হয়েছে ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা সিনেমার একটিতে।  

২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘ভৌরি’। প্রথমে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি খুব বেশি আলোড়ন তুলতে পারেনি। বরং একাধিক অন্তরঙ্গ দৃশ্য অনেক নারী দর্শকের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়েছিল। কিন্তু ছবিটি ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার পর চিত্র বদলে যায়। সাহসী দৃশ্য আর শক্তিশালী অভিনয়ের মিশেলে এটি দ্রুতই দর্শকের মন কাড়ে।

‘ভৌরি’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ