জি এম কাদের ছাড়া অন্য কারও লাঙ্গল পাওয়ার সুযোগ নেই: শামীম হায়দার পাটোয়ারী
Published: 14th, August 2025 GMT
জি এম কাদের ছাড়া আইনত অন্য কারও জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙ্গল প্রতীক পাওয়ার সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইনি ব্যাখ্যায় দেখিয়েছেন, লাঙ্গল অন্য কারও নেওয়ার সুযোগ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। শামীম হায়দার বলেন, তাঁরা আশা করছেন, ইসি আইনের সঠিক ব্যাখ্যা করে ন্যায়বিচার করবে।
৯ আগস্ট রাজধানীর গুলশানের একটি মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ‘দশম কাউন্সিল’ করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক। ওই সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দলের চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করা হয়। পরদিন বিষয়টি ইসিকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে আজ ইসির সঙ্গে বৈঠক করে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশের প্রতিনিধিদল।
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জি এম কাদেরের বিরোধীদের সম্মেলন বৈধ নয় দাবি করে শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু লোক সমাবেশ করলেই সেটা বৈধ কাউন্সিল হতে পারে না। এর আগেও আরেকটি গ্রুপ দশম সম্মেলন করেছিল। ওই সম্মেলনে থাকা তিনজন এবারও সম্মেলন করেছেন, তাঁরা দুবার দশম সম্মেলন করেছেন। জি এম কাদের ছাড়া অন্য কারও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ দলের গঠনতন্ত্র ও আইনে নেই। এরশাদের লাঙ্গল জি এম কাদেরের কাছেই আছে এবং থাকবে।
শামীম হায়দার বলেন, তাঁরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান। তাঁরা আশা করেন, নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। সবার অংশগ্রহণে একটি সুন্দর ভোটের মাধ্যমে দেশে নতুন গণতন্ত্রের আলো ফুটবে। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ মনে করেন না। তবে তাঁরা ইসিকে নিরপেক্ষ দেখতে চান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামীম হায়দার বলেন, নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য যেসব শর্তের কথা আইনে আছে, তার কোনোটাতেই জাতীয় পার্টি পড়ে না। জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি তোলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম হায়দার বলেন, চরমোনাই (ইসলামী আন্দোলন) বিগত সময়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী অংশ নিয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে জামায়াত নেতাদের অনেকে নির্বাচিত হয়ে এখনো আছেন।
আরও পড়ুনআনিসুল-হাওলাদাররা জাপাকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন, অভিযোগ কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজারের১৩ আগস্ট ২০২৫শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এখানে জাতীয় পার্টিকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। জাতীয় পার্টি ভোটে অংশ নিয়েছিল, অন্যরাও অংশ নিয়েছিল। শুধু ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে না। এটা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক। সব দল নিষিদ্ধ হয়ে গেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া ভোটে সরকার গঠিত হলে, সেটা টেকসই হবে না। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।
আরও পড়ুননির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি চেয়ে আনিসুল-হাওলাদার কমিটির চিঠি১৩ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এম ক দ র র দ র বল ন ল ঙ গল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
শামীম ওসমান দিনের পর দিন না’গঞ্জবাসীর সাথে প্রতারণা করেছে: কম. সাঈদ
নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনে শক্তির জানান দিলেন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কমরেড সাঈদ আহমেদ। সদর-বন্দরবাসী কাছে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করে নগরীতে শোডাউনের মাধ্যমে ধানের শীষের প্রচারণা করলেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ এই নেতা।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে শহরের আমলাপাড়াস্থ নিজ কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু সড়কজুড়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের প্রধান এই নেতা।
মিছিল ও ধানের শীষের প্রচারণা শেষে কমরেড সাঈদ আহমেদ বলেন, আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহু দুঃখজনক ও বিতর্কিত ঘটনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রশক্তির অপব্যবহার ও দমন পীড়নের অভিযোগ যেভাবে উত্থাপিত হয়েছে, সেগুলোর স্মৃতি আজও জাতির মনে গভীর ক্ষত হিসেবে রয়ে গেছে।
১৯৭৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজশাহীতে আমাদের দলের ৪৪ জন নেতাকে হত্যার অভিযোগ, কিংবা ১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থেকে সিরাজ শিকদারকে আটক করে পরে হত্যার ঘটনাকে ঘিরে উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি এসবই ইতিহাসে গভীর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একইভাবে, তৎকালীন সংসদ সদস্য শাহিন আলীর মৃত্যুকেও অনেকেই রাজনৈতিক নিপীড়নের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাগুলো আমরা ইতিহাসের দাবি হিসেবে তুলে ধরি জবাবদিহির প্রয়োজন থেকে, সত্য উন্মোচনের প্রয়োজন থেকে। কারণ যদি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অতীত ও কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলতে শুরু করি, তবে তা একদিনে শেষ করা যাবে না।
দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যেভাবে দমন-পীড়ন হয়েছে অনেকে মনে করেন, তার নজির পৃথিবীর ইতিহাসেই খুব কম রয়েছে। আর ঠিক সেই কারণেই আমরা, দেশ ও জনগণের স্বার্থে, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নির্দেশনায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
কমরেড সাঈদ আহমেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সাথে শামীম ওসমান প্রতারণা করেছেন এ অভিযোগ জনগণের মুখেই শোনা যায়। প্রেসিডেন্টের গাড়ি থামিয়ে স্মারকলিপি দেয়ার ঘটনায় তিনি নিজেকে যুক্ত করার চেষ্টা করলেও, সেদিন ওই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
তিন জানান, নারায়ণগঞ্জকে জেলা করা এবং তুলারাম কলেজকে সরকারি করার দাবিতে সেই স্মারকলিপি তিনি নিজেই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে প্রদান করেছিলেন সেই সময় শামীম ওসমানের রাজনৈতিক অস্তিত্বই ছিল না।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের জনগণ যেভাবে প্রতারণার জবাব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও ঠিক সে ভাবেই দেবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, তালবাহানা, কিংবা অগ্নিসংযোগ বা কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা কোনোটাই বরদাস্ত করা হবে না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, এবং জনগণের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালে যেভাবে অরজগতা সৃষ্টি করেছিল (১১ ডিসেম্বরে) আমাদের পার্টির ৪৪ জন নেতাকে রাজশাহীতে হত্যা করেছিল রক্ষী বাহিনীর মঞ্জুরের নেতৃত্বে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, ১৯৭৫ সালের (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থেকে সিরাজ শিকদারকে ধরে এনে ঢাকা সাভারে নিয়ে শেখ মুজিবের রকিবাহিনী হত্যা করেছিল, আরো হত্যা করেছিল পার্লামেন্টে শাহিন আলিকে শেখ মুজিব নিজ হাতে,
তিনি আরও বলেন, যদি আমরা শেখ হাসিনার ইতিহাস বলতে চাই, বলে শেষ করা যাবে না বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম নৃশংস গণহত্যা পৃথিবীর বুকে আর কোন স্বৈরাচার করে নাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে সারা পৃথিবীর বুকে নজির হয়ে থাকবে, আমরা চাই দেশ এবং জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের আপোসিন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সাথে শামীম ওসমান প্রতারণা করেছে, প্রেসিডেন্টের গাড়ি সে থামিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল, শামীম ওসমান মিথ্যা কথা বলেছে, সেই দিন শামীম ওসমান কোনভাবেই এর সাথে জড়িত ছিল নাভ
ঐদিন আমি নিজে জিয়াউর রহমান কে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলাম নারায়ণগঞ্জ কে জেলা করার জন্য, তোলারাম কলেজকে সরকারি করার জন্য, সেই সময় শামীম ওসমানের অস্তিত্ব ছিল না, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সাথে যেভাবে প্রতারণা করেছে নারায়ণগঞ্জের জনগণ ঠিক ওইভাবেই তাকে এর জবাব দিয়ে দিয়েছি, আমরা নারায়ণগঞ্জের জনগণকে নিয়ে কোন তালবাহানা কোন অগ্নিসংযোগ যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটাতে চায় তাহলে আমরা কোন ছাড় দিব না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম-এল এর) পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড মেহেবুব, কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড নওশাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি কমরেড নুরুলদীন ঢালী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা কমরেড সুমন হাওলাদার, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কমরেড জাকির শিকদার, আহবায়ক নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমরেড গোলজার প্রধান, সদস্য সচিব নারায়ণগঞ্জ জেলা কমরেড শাকিল ও সভাপতি বন্দর থানা ইরফান খন্দকার ।