বগুড়া জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও ১০ মামলার আসামি শাকিল মাহমুদ ওরফে ‘কুত্তা শাকিল’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও শাজাহানপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শাকিল শাজাহানপুরের জোকা এলাকার আব্দুল জলিল কেরানীর ছেলে এবং বগুড়া জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি। তিনি আলোচিত ক্যাডার হত্যাসহ দেড় ডজন মামলার আসামি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামান নুরুর সহযোগী।
আরো পড়ুন:
ইটনায় ইউএনওর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ১
প্রবাসীর পরিত্যক্ত ঘরে মিলল ৩০ হাতবোমা
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকা থেকে শাকিল মাহমুদ ওরফে কুত্তা শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাকিলের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা, মারধর, চাঁদাবাজি, অনধিকার প্রবেশ, নারীর শ্লীলতাহানি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনের একাধিক মামলা রয়েছে।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলাগঞ্জের লুটকৃত ৪০ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করল র্যাব-১১
সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়ায় বিপুল পরিমাণ সাদা খনিজ পাথর ঢাকার ডেমরা থানার সারুলিয়া ইউনিয়নের শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে শুকুরসী ঘাটে জব্দ করেছে যৌথবাহিনীর একটি আভিযানিক দল।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও র্যাব-১১ বাহিনী এ অভিযান শুরু করেন। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। রাত সাড়ে ৯ টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যাণ্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
র্যাব অধিনায়ক জানান, র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কাঁচপুর সেতুর উত্তর পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে শুকুরসী ঘাটে সিলেট থেকে লুট হওয়া সাদা পাথর সড়ক ও নদী পাথে আনা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পারিচালনা করা হয়।
অভিযান টের পেয়ে ওই এলাকার পাথর ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তখন পাথর ভাঙার মেশিন সংলগ্ন দুটি ট্রাকে সাদা পাথর লোড-আনলোড করা অবস্থায় পাওয়া যায়। পাথরের সাথে সিলেকশন বালু মিশানো থাকায় সন্দেহ হলে পাথর ভাঙার বিভিন্ন গদিতে তল্লাশী চালানো হয়।
তল্লাশীতে হুজাইফা এণ্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান ষ্টোন ক্রাশার, মাদবর ট্রেডার্স-২, মান্নান ভূঁইয়া এণ্টারপ্রাইজ, আলিফ বিল্ডার্স, মেসার্স ভূঁইয়া ট্রেডার্স ও ফরাজি অ্যাণ্ড ব্রাদার্সে সাদা পাথর পাওয়া যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়া ধারণা করা হয় পাথরগুলো সিলেট থেকে লুট হওয়া পাথর হবে। ফলে কয়েকটি ট্রাক ও স্তুপ করে রাখা বিপুল পরিমাণ পাথর জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নির্নয় করা সম্ভব হয়নি। তবে আনুমানিক ৪০ হাজার ঘনফুট হতে পারে। আমাদের অভিযান এখনো শেষ হয়নি। অভিযান শেষে জব্দকৃত পাথরের পরিমাপ নির্নয় করা সম্ভব হবে।
অভিযানে উপস্থিত রয়েছেন, র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি গোলাম মোরশেদ, ঢাকার কেরানীগঞ্জ দক্ষিণের এসিলেণ্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসেন শুভ মঞ্জু ও র্যাব-১১ এর বিপুল সংখ্যক সদস্য।