ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
Published: 15th, August 2025 GMT
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৫ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের অনলাইন (eSIF পূরণের মাধ্যমে) রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে, চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত । সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষককে উপর্যুক্ত বিষয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের আদেশে বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর কাজী ফয়জুর রহমান স্বাক্ষর করে এ কার্যক্রম জারি করেছেন।
১৫ টি দরকারি তথ্য—১.
২. বেসরকারি উদ্যোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) স্থাপন, চালুকরণ ও স্বীকৃতি
প্রদানের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা কেবলমাত্র নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবে।
৩. বোর্ড কর্তৃক পাঠদানের অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশের বা নিকটতম অনুমোদিত নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড
কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। কোন অবস্থাতেই ‘পাঠদানের অনুমতিবিহীন’ প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন
করার সুযোগ পাবে না।
৪. ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে OEMS/eSIF বাটনে ক্লিক করে EIIN ও Password দিয়ে লগইন (Login) করলে Dashboard থেকে eSIF
SIX-তে ক্লিক করলে Payable Fees of VI 2025 Registration-এ Applicant name, Mobile no. এবং Number of Students দিয়ে
Print Sonali Seba-এ ক্লিক করে সোনালি সেবার স্লিপটি প্রিন্ট করতে হবে (বি.দ্র: ফরমটি কোনভাবেই ফটোকপি করে ব্যাংকে জমা
দেওয়া যাবে না)। ব্যাংকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করলে নির্ধারণ করা শিক্ষার্থীদের eSIF পূরণ করা যাবে। পেমেন্ট ক্লিয়ারের পরে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনরায় সোনালি সেবার স্লিপ বের করা যাবে এবং বাদপড়া শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করা যাবে।
৫. শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত (২০+২০+২০)=৬০ টাকা যুব রেড ক্রিসেন্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। উক্ত ৬০ টাকা হতে ৬০
শতাংশ অর্থাৎ ৩৬ টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (আলাদা রেডক্রিসেন্ট হিসাব অ্যাকাউন্টে) যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রেখে
অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ টাকা শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য তথ্য আপলোড করার লক্ষ্যে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি
রেজিস্ট্রেশন কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির
সদস্যরা বিদ্যালয়ে রক্ষিত ভর্তি ফরম ও জন্ম সনদের সঙ্গে মিলিয়ে যথাযথভাবে নিশ্চিত করবেন। নিশ্চিত হওয়ার পর ফাইনাল সাবমিট
করবেন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে কোনো অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিযুক্ত করা যাবে না। চূড়ান্ত তালিকার প্রিন্ট আউট (হার্ড কপি) প্রতিষ্ঠানে
সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর তথ্যে ভুল-ত্রুটির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সদস্যগণ যৌথভাবে দায়ী থাকবেন।
৭. ফি জমাদান ও eSIF পূরণের তারিখ: ১৭.০৮.২০২৫ থেকে ১৭.০৯.২০২৫ তারিখ পর্যন্ত।
জনপ্রতি রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি:
রেজি ফি=৫০টাকা, স্কাউট ফি=৮টাকা, বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক/কর্মচারীগণের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিল=১০০টাকা, বিলম্ব
ফি=৫০টাকা, মোট ফির পরিমাণ: বিলম্ব ফি ব্যতিত=১৮৩ টাকা, বিলম্ব ফি সহ=২৩৩ টাকা।
৮. শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শেষ করার পর তাদের তথ্যের পাশে নিজ নিজ স্বাক্ষর করা চূড়ান্ত তালিকার প্রিন্ট আউট (হার্ড কপি)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে।
৯. নতুন পাঠদানের অনুমতি পাওয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সে সব প্রতিষ্ঠান ইতিপূর্বে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে eSIF করেনি) ব্যানবেইস হতে
EIIN সনদ সংগ্রহ করার পর সোনালী ব্যাংকের সোনালি সেবার মাধ্যমে ১,৫০০ টাকা জমা দিয়ে বিদ্যালয় শাখার মাধ্যমে Login
Password সংগ্রহ করবে।
১০. ক. শিক্ষার্থীর পিতা ও মাতা এসএসসি সনদধারী হলে তাদের মূল সনদ অনুযায়ী অথবা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পাসের সনদ অনুযায়ী
‘পিতা ও মাতা’র নাম এন্ট্রি করতে হবে।
খ. শিক্ষার্থীর পিতা ও মাতা এসএসসি সনদধারী না হলে ‘জন্ম নিবন্ধন সনদ’ বা ‘জাতীয় পরিচয়পত্র’ (NID) অনুযায়ী পিতা ও মাতার নাম এন্ট্রি
করতে হবে।
গ. শিক্ষার্থীর নামের আগে জনাব/ Sree/ জনাবা/ Sreemoti/Mr/Miss/Mrs/Advocate/Hazi/Al-Haj/ Engr/ Late/ Major/
Cornel/ Brigadier/ Dr/ Prof. ইত্যাদি ধরনের পদবি এবং নামের শেষে MA/MCom/MSc/MSS/BA/BCom/ BSc/BSS/
FRCS/PHD/FCPS/Master ইত্যাদি ধরনের ‘শিক্ষাগত যোগ্যতাসূচক শব্দ’ ব্যবহার করা যাবে না।
ঘ. সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি হাল সন (বর্তমান সাল) নাগাদ থাকতে হবে।
১১. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ‘সব তথ্য নিশ্চিত’ হয়ে ডাটা এন্ট্রি করবে। উল্লিখিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ
হলে বা এ কারণে শিক্ষার্থীর কোনো সমস্যা হলে এর দায়-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।
১২. স্বীকৃতি বিহীন বা হালনাগাদ স্বীকৃতি নবায়ন নেই এ ধরনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন
সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৩. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কি না’ তা উল্লেখ করতে হবে এবং প্রমাণ হিসেবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ
কর্তৃক পাওয়া সনদ সংযুক্ত করতে হবে।
১৪. প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ‘জন্ম নিবন্ধন নম্বর’ নিশ্চিত হয়ে এন্ট্রি করতে হবে।
১৫. যেসব স্কুল এবং স্কুল ও কলেজের নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে হালনাগাদ পাঠদান বা একাডেমিক স্বীকৃতি বা স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ নেই
সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অতি সত্ত্বর পাঠদান বা একাডেমিক স্বীকৃতি বা স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন দাখিল করার জন্য বলা
হয়েছে।
*বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.dhakaeducationboard.gov.bd
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এন ট র অন য য় র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু ফান্ডের ৭.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে তালিকাভুক্ত গ্রামীণ ওয়ান স্কিম টু মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটি ইউনিট হোল্ডারদের জন্য ৭.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।
২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.৭৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন ইউনিটহোল্ডাররা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঘোষিত লভ্যাংশ ইউনিটহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর।
আলোচিত বছরে মিউচুয়াল ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৮১ টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিইউ ছিল ০.৮৬ টাকা ছিল।
গত ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে ফান্ডটির বাজার মূল্যে ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিইউ) ছিল ১৫.৮৯ টাকা।
ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে এইমস অব বাংলাদেশ অ্যাসেট লিমিটেড।
ঢাকা/এনটি/ইভা