ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় এই লিগ শুরুর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল একই চূড়ায় দাঁড়িয়ে। দুই দলই সমান ২০ বার করে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগ জিতেছে। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ চালু হওয়ার আগের সময় বিবেচনা করে এই হিসাব করা হয়েছে। অর্থাৎ, এবারের মৌসুমে শিরোপা জয়ে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ইংলিশ ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। সে হিসাবে বর্তমানে দুই দলকে সমতায় রেখে একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে, ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে সর্বকালের সেরা দল কোনটি? লিভারপুল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড?

আরও পড়ুনলা লিগা, প্রিমিয়ার লিগ, বুন্দেসলিগা ও সিরি ‘আ’র ম্যাচ কোথায় দেখবেন১ ঘণ্টা আগে

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে দুই দলের বিভিন্ন পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে সেরা দল বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। গত মৌসুমে লিভারপুল লিগ জিতে ইউনাইটেডের পাশে বসে। সমান ২০ বার করে শিরোপা জেতা এ দুই দল থেকে ৭টি শিরোপার ব্যবধানে পিছিয়ে তিনে আর্সেনাল (১৩)। সমান শিরোপা জিতলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সর্বোচ্চ ১৭ বার রানার্সআপ হওয়ায় শীর্ষে আর ১৫ বার রানার্সআপ হয়ে দুইয়ে লিভারপুল।

ইউনাইটেড ও লিভারপুলের মধ্যে কোন দল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে সেরা—সেই বিতর্কে দুই পরাশক্তির পক্ষেই যথেষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা যায়।

প্রথম আলো গ্রাফিকস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ই দল

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীনতা দিবসের সকালে পশ্চিমবঙ্গের সড়কে ঝরল ১০ প্রাণ

ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনের সকালে পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন; আহত হয়েছেন ৩৫ জন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বর্ধমানের নবাব-হাট ফাগুপুর এলাকায় সকাল ৭টায় এই দুর্ঘটনা হয়। 

১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয় ভারত।

আরো পড়ুন:

রোডক্র্যাশে বেশি মারা যাচ্ছে তরুণরা

ঝিনাইদহের সড়কে ঝরল ২ শিক্ষার্থীর প্রাণ

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি হুগলি জেলার তারকেশ্বর থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় জাতীয় সড়কের ওপর ফাগুপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকের পেছন ধাক্কা  দেয় বাসটি।

ধাক্বায় বাসের সামনের দিকের অংশ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। দুর্ঘটনা স্থল থেকে ৪৫ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে, যাদের ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে অন্তত ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই বিহারের বাসিন্দা। পুজা দিতেই সবাই পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। ফেরার সময়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সার্ভিস লেন থাকা সত্ত্বেও জাতীয় সড়কের ওপরেই লরিগুলো বিপদজনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। 

এদিন সকালেও একইভাবে ওই লরি দাঁড়িয়ে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন। দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট হয়। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যা পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

ঢাকা/সুচরিতা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ