অন্যায্য শ্রম অনুশীলন ও ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্য বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বাধা। শ্রমিক নেতাদের ভয়ভীতি, ইউনিয়ন কার্যক্রমে নিয়োগকর্তার হস্তক্ষেপ এবং বেআইনি বরখাস্তের মতো ঘটনাগুলো শিল্প-শান্তি ও জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান শুক্রবার গাজীপুরে "অন্যায্য শ্রম অনুশীলন ও ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্যের প্রতিকার’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকা‌লে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা ব‌লেন।

স‌চিব বলেন, “সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে ন্যায্য শ্রমনীতি প্রণয়ন এবং শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা সম্ভব। ট্রেড ইউনিয়নগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক-মালিক ঐক্য অপরিহার্য।”

তি‌নি বলেন, “ডিসেম্বর ২০২৪-এ, সরকার শ্রমিক ও মালিক সংগঠনগুলোর সাথে অংশীদারিত্বে "উন্নত শিল্প সম্পর্ক ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়। আজকের কর্মশালা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের আরেকটি পদক্ষেপ।”

সফিকুজ্জামান বলেন, “আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন বাংলাদেশ আইএলও কনভেনশন সি-১৫৫ (পেশাগত নিরাপত্তা), সি-১৮৭ (অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ), এবং সি-১৯০ (কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি রোধ) অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়ায় আছে। শ্রম অধিদপ্তর ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ডিজিটাল করছে এবং একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব অ্যাপ উন্নয়নের কাজ চলছে।ভবিষ্যতে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের সব সেবাও ডিজিটাল করা হবে।  আইএলও এর ‘অ্যাডভান্সিং ডিসেন্ট ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রম বিরোধ নিষ্পত্তি এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম তরিকুল আলম।

এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএলও প্রতিনিধি নিরান রামজুঠান। অন্যান্যের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধি, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা  এবং আইএলও এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন য ন

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ভিশনএক্স: এআই পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ‘ভিশনএক্স’-এ দুটি ট্র্যাক ছিল। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে ৪১টি উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে এআই–ভিত্তিক প্রকল্প ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিযোগিতায় পুরস্কার—

প্রতিযোগিতার প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রথম রানার্সআপ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে লিডিং ইউনিভার্সিটি ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানার্সআপ ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ টাকা ও ২ দিনের ব্যাংকক ভ্রমণ, প্রথম রানার্সআপ দল ৮০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুবিধা পেয়েছে।

প্রতিযোগিতায় অতিথি ছিলেন—

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং ইউএস–বাংলা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

অতিথিদের কথা—

উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও মননশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং জনস্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তাত্ত্বিক জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি এর প্রায়োগিক সফলতা নিয়েও কাজ করতে হবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণেরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ