বরিশাল সদর উপজেলার ১১ মামলার আসামি রাসেল হাওলাদারকে তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ছগির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র এবং ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার রাসেল হাওলাদার বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর লামছরি গ্রামের তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রুবেল সরদারের ছেলে রাব্বি সরদার (২৪), লালমিয়া বেপারির ছেলে শাওন বেপারি (২৫) ও বিল্লাল হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদার (২৫)।

আরো পড়ুন:

জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আবারো গ্রেপ্তার টিকটকার প্রিন্স মামুন

চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজু মাঝি বলেন, ‘‘বেশ কয়েক ধরে রাসেল ও তার সহযোগীরা সদর উপজেলার প্রতেকটি গ্রামে মাদকের কারবার করে আসছে। ৮-১০ বার মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলেও কয়েক দিন পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়ে যায়। তারপর আগের মতো বহাল তবিয়তে মাদকের রাজত্ব গড়ে তোলে। এছাড়াও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।’’ 

পুলিশ পরিদর্শক ছগির জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা রয়েছে। অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চরব ড় য় উপজ ল র বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে গভীর নলকূপের লাইনম্যানের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে গভীর নলকূপের এক লাইনম্যানের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ক্ষেতলাল উপজেলার বরাইল ইউনিয়নের কলিঙ্গা গ্রামের একটি ফসলি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আবু সাইদ (৬৫) ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই গভীর নলকূপের লাইনম্যান ও পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

পুলিশ বলছে, নিহতের হাত-পা বাঁধা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

চিরকুট: ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’

কুমিল্লায় মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে আবু সাইদ নলকূপ পাহারা দেওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। তবে, শুক্রবার সকালে তিনি বাড়িতে ফেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগ করে না পেয়ে নলকূপের ঘরে গিয়ে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/আব্দুল্লাহ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ