বরিশালে ১১ মামলার আসামি রাসেল গ্রেপ্তার
Published: 15th, August 2025 GMT
বরিশাল সদর উপজেলার ১১ মামলার আসামি রাসেল হাওলাদারকে তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ছগির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র এবং ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার রাসেল হাওলাদার বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর লামছরি গ্রামের তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রুবেল সরদারের ছেলে রাব্বি সরদার (২৪), লালমিয়া বেপারির ছেলে শাওন বেপারি (২৫) ও বিল্লাল হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদার (২৫)।
আরো পড়ুন:
জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আবারো গ্রেপ্তার টিকটকার প্রিন্স মামুন
চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজু মাঝি বলেন, ‘‘বেশ কয়েক ধরে রাসেল ও তার সহযোগীরা সদর উপজেলার প্রতেকটি গ্রামে মাদকের কারবার করে আসছে। ৮-১০ বার মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলেও কয়েক দিন পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়ে যায়। তারপর আগের মতো বহাল তবিয়তে মাদকের রাজত্ব গড়ে তোলে। এছাড়াও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।’’
পুলিশ পরিদর্শক ছগির জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা রয়েছে। অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চরব ড় য় উপজ ল র বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার
দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।
পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।