জয়পুরহাটে গভীর নলকূপের এক লাইনম্যানের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ক্ষেতলাল উপজেলার বরাইল ইউনিয়নের কলিঙ্গা গ্রামের একটি ফসলি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আবু সাইদ (৬৫) ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই গভীর নলকূপের লাইনম্যান ও পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

পুলিশ বলছে, নিহতের হাত-পা বাঁধা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

চিরকুট: ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’

কুমিল্লায় মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে আবু সাইদ নলকূপ পাহারা দেওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। তবে, শুক্রবার সকালে তিনি বাড়িতে ফেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগ করে না পেয়ে নলকূপের ঘরে গিয়ে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/আব্দুল্লাহ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ নলক প র

এছাড়াও পড়ুন:

গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি: সিপিবি

গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি, বরং স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রের চার মূলনীতি লক্ষ্য করে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা এ কথাগুলো বলেছেন।

শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, রাগীব আহসান মুন্না, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, সদস্য জাহিদ হোসেন খান, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম সভায় বক্তব্য দেন।

সভায় নেতারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, যার মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান ঘটে। তাঁরা অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলগুলো, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নীতি থেকে সরে গিয়ে মোশতাক-জিয়া-এরশাদের অনুসৃত পথে হেঁটেছে।

সিপিবির নেতারা বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার ও টিকে থাকার জন্য তারা বারবার স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেছে। তারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম না টেনে বরং লুটেরা ধনিক শ্রেণিকে রক্ষা করতে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছে।’ তাঁরা বলেন, এসব কারণেই ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে দুঃখজনকভাবে এক বছর পার হলেও সেই অভ্যুত্থানের মূল দাবি ও লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

আলোচনায় নেতারা আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির সমাবেশ। তাঁদের ভাষায়, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ