তিন তওবা করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন রুস্তম আলী ফরাজি
Published: 17th, August 2025 GMT
তিন তওবা করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন পিরোজপুর ৩ আসনের (মঠবাড়িয়া) সাবেক সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজি।
শনিবার তিনি দলটিতে যোগ দিলে তাকে পিরোজপুর ৩ আসনে হাতপাখার প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
ডা. রুস্তম আলী ফরাজী মঠবাড়িয়া থেকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জাপা), মহাজোট থেকে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজয় বরণ করেন।
রুস্তুম আলী ফরাজি অনুসারীদের নিয়ে গত শনিবার দুপুরে চরমোনাই পীরের দরবারে যান। এ সময় তিনি ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীর তাকে পিরোজপুর-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন।
ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এসাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, এর আগে ডা.
এসাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ‘‘রুস্তম আলী ফরাজী আর দল বদল না করার জন্য তিন তওবা পড়েছেন। এই তওবায় তাকে ক্ষমা করা যায়। তাই তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’’
এ প্রসঙ্গে রুস্তম আলী বলেন, ‘‘নতুন যোগদান নয়। পুরোনো সদস্যপদ নবায়ন করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। সে বছর ইসলামী আন্দোলন নির্বাচন বর্জন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হই। এ কারণে সদস্যপদ স্থগিত হয়েছিল।’’
জাপায় যোগ দেওয়ার পরও সদস্যপদ ছিল কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তারা (ইসলামী আন্দোলন) রেখেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকে দল বদল করছেন।’’
উল্লেখ্য, ডা. রুস্তম প্রথম সংসদ সদস্য হন ১৯৯৬ সালে জাপার প্রার্থী হয়ে। ১৯৯৮ সালে জাপার ভাঙনে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জেপিতে যান। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ২০১১ সালে সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগের এমপিকে পরাজিত করেন। এ সময় তিনি পুনরায় জাপায় যোগ দেন। ২০১৮ সালে জাপার প্রার্থী হিসেবে মহাজোটের সমর্থনে তিনি সংসদ সদস্য হন। কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে জাপার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জেরে গত বছর ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপা তাকে মনোনয়ন দেয়নি। স্বতন্ত্র নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন।
ঢাকা/তাওহিদুল/
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বতন ত র প র র থ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার
দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।
পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।