হায়দরাবাদে বাংলাদেশি কিশোরী উদ্ধার, বেরিয়ে আসছে ভারত–বাংলাদেশ মানব পাচার চক্রের তথ্য
Published: 17th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে হায়দরাবাদে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় আন্তদেশীয় মানব পাচার চক্রের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।
হায়দরাবাদে বাংলাদেশি নারী উদ্ধারের চতুর্থ ঘটনা এটি। খাইরতাবাদ, চাদেরঘাট ও বান্দলাগুডার বিভিন্ন যৌনপল্লি থেকে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করেছে।
এই শহরের যৌনপল্লি থেকে বাংলাদেশি নারীদের উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। ২০০০-এর দশকের শুরু থেকেই সংঘবদ্ধ মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব যৌনপল্লিতে আটকে পড়া নারীদের উদ্ধার করছে পুলিশ। শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, উজবেকিস্তান, রাশিয়া, ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকেও নারীদের এনে যৌন পেশায় নামানো হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পাচারের ক্ষেত্রে, পাচারের শিকার নারীরা সীমান্তে এজেন্টদের সাহায্য নিয়ে স্থল বা নৌপথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। ভারত ও বাংলাদেশে থাকা পাচার চক্রের হোতাদের নেটওয়ার্ক খুবই শক্তিশালী। তারা দালাল ও অন্যদের অর্থের ব্যবস্থা করে।’
পাচারের শিকার নারীদের চাকরির প্রলোভন ও ভালো বেতনের আশ্বাস দেখিয়ে ভারতে নিয়ে আসা হয়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে চরম দারিদ্র্য রয়েছে। শিকার বা মাছ ধরার ছদ্মবেশে এজেন্টরা অসহায় নারী বা কিশোরীদের খুঁজে বের করে। এরপর তাঁদেরকে ভালো জীবিকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে আসতে প্ররোচিত করে। ভারতে আসার পর স্থানীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে তাঁদেরকে বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়।’
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘দারিদ্র্যের কারণে বাংলাদেশ থেকে পুরুষ, নারী ও শিশুরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। ধরা না পড়া পর্যন্ত তাঁরা নিজেদের বাঙালি পরিচয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।’
সেন্ট্রাল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড (সিএসডব্লিউবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে বাণিজ্যিক যৌনশোষণের শিকার হওয়া নারীদের মধ্যে ২ দশমিক ৭ শতাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে পাচার নারীদের কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাইসহ বিভিন্ন শহরে দালালদের কাছে বিক্রি করা হয়।
হায়দরাবাদে পাচার চক্রের হোতারা আত্তাপুর, বান্দলাগুডা, চিন্তালমেট, হিমায়াতসাগর রোড ও চম্পাপেটে সক্রিয়ভাবে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সম্মানসূচক অস্কার পেলেন টম ক্রুজ
ফিল্ম আইকন টম ক্রুজকে সম্মানসূচক অস্কার প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে গভর্নর্স অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে এই পুরস্কার টম ক্রুজের হাতে তুলে দেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো জি. ইনারিতু।
তাছাড়া একই সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন কোরিওগ্রাফার ও অভিনেত্রী ডেবি অ্যালেন, মিউজিক আইকন ডলি পার্টন এবং প্রোডাকশ ডিজাইনার উইন থমাস। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য হলিউড রিপোর্টার এ খবর প্রকাশ করেছে।
আরো পড়ুন:
কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি
চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি
টম ক্রজ বলেন, “সিনেমা আমাকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছে। ভিন্নবিষয়কে উপলদ্ধি করা ও সম্মান করতে এটি আমাকে সাহায্য করে। পৃথিবীর যেখান থেকেই আসি না কেন, থিয়েটারে আমরা একসঙ্গে হাসি, একসঙ্গে অনুভব করি, একসঙ্গে স্বপ্ন দেখি। আর এটাই এই শিল্পের শক্তি। এ কারণেই এটি গুরুত্বপূর্ণ, এ কারণেই এটি আমার কাছে অর্থবহ। তাই চলচ্চিত্র তৈরি করা শুধু আমার কাজ নয়, আমি কে, এটি তারই অংশ।”
অ্যাকাডেমির সভাপতি জ্যানেট ইয়াং প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলেন, “অ্যাকাডেমির বোর্ড অব গভর্নর্স এই মেধাবি শিল্পীদের সম্মান জানাতে পেরে গর্বিত। ডেবি অ্যালেন একজন পথপ্রদর্শক কোরিওগ্রাফার এবং অভিনেত্রী; যার কাজ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুগ্ধ করেছে; বিভিন্ন ধারার সীমানা অতিক্রম করেছে। টম ক্রুজের চলচ্চিত্র, থিয়েট্রিক্যাল অভিজ্ঞতা এবং স্টান্ট আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে।”
চলচ্চিত্র শিল্প ও এমন ব্যক্তিকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়, যার মানবিক প্রচেষ্টা মানবকল্যাণে উন্নতী এবং বৈষম্য দূরীকরণে অবদান রেখে শিল্পের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।
ঢাকা/শান্ত