সোনারগাঁয়ে ১৫০০ পিছ ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 20th, September 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে ১৫০০ পিছ ইয়াবাসহ মো. সৈয়দুল আমিন (৩৫) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মো. সৈয়দুল আমিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার মাথাভাঙ্গা বড়ডেইল এলাকার কালা মিয়ার ছেলে।
শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বিষয়টি নিশ্চিত করেন । এর আগে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধারে সোনারগাঁ থানার এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ ইকরাম উজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়নের আষারঢ়িয়ারচর সাকিনস্থ মেঘনা টোল প্লাজার পুলিশ চেকপোস্টের সামনে অভিযান চালায়।
অভিযানে চট্টগ্রাম থেকে আসা জে বি পরিবহনের একটি বাস (চট্ট মেট্রো-ব-১১-১৬৮৩) থেকে ১৫০০ শত পিছ ইয়াবা উদ্ধারসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রাশেদুল হাসান জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিকে সোনারগাঁ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ক রব র স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
এইচ-ওয়ান বি ভিসা ফি ১৫০০ থেকে এক লাখ ডলার করল ট্রাম্প প্রশাসন
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের আগমন নিয়ন্ত্রণ করতে এইচ-ওয়ান বি ভিসার বার্ষিক ফি ১ হাজার ৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আরো পড়ুন:
বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্সের যৌথ অনুশীলন সমাপ্ত
ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ বেড়েছে যুক্তরাজ্যে
প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচ-ওয়ান বি একটি বিশেষ ভিসা কর্মসূচি, যার আওতায় মার্কিন কোম্পানিগুলো অস্থায়ীভাবে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বা প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর ৮৫ হাজার বিদেশি কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
মূলত বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল বিদ্যা এবং ব্যাবসায় প্রশাসনে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয় এ ভিসার আওতায়। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল, গুগল প্রভৃতি বড় কোম্পানিগুলো এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। শত শত বিদেশি কর্মী এই কোম্পানিগুলোতে কাজ করেন। এতদিন কোম্পানিগুলোকে বছরে ১ হাজার ৫০০ ডলার ফি দিতে হতো। এখন তা বেড়ে ১ লাখ ডলার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকর্মীদের স্টেম ওয়ার্কার বলা হয়। মার্কিন পরিসংখ্যান দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ২০০০ সালে দেশটিতে বিদেশি স্টেম ওয়ার্কার সংখ্যা যত ছিল, এইচ-ওয়ান বি ভিসা কর্মসূচির চালু হওয়ার পর সেখানে আরো ২৫ লাখ বিদেশি স্টেম ওয়ার্কার যোগ হয়েছেন। ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই কর্মীদের হার বেড়েছে ৪৪.৫ শতাংশ, যার অধিকাংশই ভারত ও চীন থেকে আসা।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “বড় বড় কোম্পানিগুলো প্রতি বছর লাখ লাখ বিদেশি কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রে আনছে। এই ভিসা ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা তাদের এই বার্তা দিতে চাই যে, যদি আপনারা দক্ষ কর্মী চান- তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করুন, অথবা মার্কিনিদের প্রশিক্ষিত করুন। বাইরের লোকজনদের আমাদের চাকরি কেড়ে নিতে দেবেন না।”
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে। বেশিরভাগ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাই দক্ষ বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভর করে থাকে। বেশিরভাগ কর্মী যান ভারত এবং চীন থেকে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিয়মে আলাদা করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। যেকোনো দেশের দক্ষ কর্মচারীর ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে প্রধানত ভারত ও চিনের কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি পাওয়া এর পর কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–ওয়ান বি ভিসা থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন ভারতীয় কর্মীরা। ভারত থেকে ৭১ শতাংশ আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই আছে চীন। সেখান থেকে ১১.৭ শতাংশ ভিসার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এইচ–ওয়ান বি ভিসার জন্য ফি এক ধাক্কায় এতটা বেড়ে যাওয়ায়, ভারত–সহ বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মী নিয়োগে কোম্পানিগুলো কতটা উৎসাহী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়ে অ্যামাজন, অ্যাপেল, গুগল এবং মেটার মতো সংস্থা এখনও মুখ খোলেনি।
ঢাকা/ফিরোজ