চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম নাসিমা আক্তার (৪৮)। গতকাল শুক্রবার নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯।

নিহত নাসিমা আক্তার সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানায়, গত বুধবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম ও বেশ কয়েকটি শারীরিক সমস্যা লেখা হয়েছে। এর আগের গত বুধবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ইফফাত নুর তানভীর (২৮) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

সিভিল সার্জনের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৩৩ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ১৮৪। এর মধ্যে ৩৭৪ জন শিশু, ৬৬০ জন নারী এবং ১ হাজার ১৫০ জন পুরুষ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পার্বতীপুর-সৈয়দপুর ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনের ১৭ কিলোমিটারের তার চুরি

দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সরকারি সঞ্চালন লাইনের প্রায় ১৭ কিলোমিটারের অ্যালুমিনিয়াম তার চুরি হয়েছে। প্রতিটি লাইনে তিনটি করে তার থাকায় মোট প্রায় ৫১ কিলোমিটার তার চুরি গেছে।

এই সঞ্চালন লাইনটি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)-এর আওতাধীন। সৈয়দপুরের শেষ সীমা থেকে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয় পর্যন্ত খুঁটির ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহন হতো। সম্প্রতি চোরের দল ওই খুঁটির তার কেটে নিয়ে যায়। অভিযোগ আছে, বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতি ও অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে পরিকল্পিতভাবে এই চুরি হয়েছে।

সৈয়দপুর পাওয়ার গ্রিড থেকে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। ২০২০ সালে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র (৫২৫ মেগাওয়াট) চালু হওয়ার পর পার্বতীপুর নেসকো অফিস ওই কেন্দ্র থেকে নতুন করে ১৫ কিলোমিটার ৩৩ হাজার ভোল্টেজের গ্রিড সংযোগ নেয়। এরপর থেকে সৈয়দপুর গ্রিডের লাইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় থাকার সুযোগে চোরেরা রাতে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয়ের সামনে থেকেই সঞ্চালন লাইনের তার কেটে নিয়ে যায়।

আজ সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সৈয়দপুর গ্রিড থেকে শুরু হয়ে উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চৌমহনী বাজার, পার্বতীপুরের বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, বেলাইচন্ডি বাজার, জাকেরগঞ্জ ও বান্নিনরঘাট গ্রামের পাশ দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনটি গেছে। এ লাইন পার্বতীপুর-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম ধার ঘেঁষে পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার পাশ দিয়ে শহরে ঢুকেছে। এরপর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের পূর্ব দিক হয়ে সুন্দরীপাড়া রেলগেট পর্যন্ত খুঁটি স্থাপন করা হয়, যা পার্বতীপুর বিদ্যুৎ অফিসে যুক্ত ছিল। বর্তমানে ওই খুঁটিগুলো তারবিহীন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।

বেলাইচণ্ডি বুড়িরঘাট এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক বাসিন্দা বলেন, কে বা কারা তার নিয়ে গেছে, তাঁরা জানেন না।

পার্বতীপুর বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র নেসকো কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান বলেন, ‘পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনের তার চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি, ছুটি শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’

চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে পার্বতীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী সত্যজিৎ দেব শর্মা বলেন, তথ্য নিতে হলে অফিসে তথ্য অধিকার ফরম আছে, তা পূরণ করে তথ্য নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ