ঢাকার বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং সব সেবা পাওয়া যাবে এক ছাদের নিচে। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.

আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।

উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। 

কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”

ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরো গতিশীল করবে।

ভ্রমণ সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী এই ঠিকানায়।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন প রস স ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টারা পক্ষপাতদুষ্ট  হয়ে কাজ করছেন: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলকে হাতের খেলনা মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা। তারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। একটি মহলের চক্রান্তে পড়েছেন। এভাবে চললে এ সরকারের ব্যর্থ সরকারের পরিণত হবে।’’ 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল যশোর টাউন হল ময়নদানে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

‘পদ্মা বাঁচাও’ গণসামবেশে ১৫ নভেম্বর, যোগ দেবেন ফখরুল

এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে সভায় দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মির্জা ফখরুল আবার বলেন, ‘‘ঐক্যমত কমিশন আলোচনা আর খাওয়া-দাওয়া করেছেন। পূর্বে যে প্রস্তাবনা স্বাক্ষর হয়েছে, সেটাকে ভিন্নভাবে নতুন করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ সুযোগে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এ ষড়যন্ত্র জনগণ মানবে না। নির্বাচনের আগে গণভোট হবে না।’’

সভায় তিনি আরো বলেন, ‘‘অনেক রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্টের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছি। সুযোগ হয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে যাওয়ার। এ সুযোগ কোনো মহলের চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কারণে বিনষ্ট হতে দিতে পারি না।’’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা অনেক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি। এখনো রাস্তায় নামেনি। বিএনপি এই দেশের জনগণের দল, বিএনপিকে অবজ্ঞা করে দেখবেন না। রাজপথে নামলে ফল ভালো হবে না।’’ 
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘দয়া করে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবেন না। আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এ প্রক্রিয়া জনগণ মেনে নেবে না।’’ 

সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টি এস আইয়ুব, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টি এস আইয়ুব, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাবিরা সুলতানা, আবুল হোসেন আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সভায় তরিকুল ইসলামের স্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন। 


 

ঢাকা/রিটন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ