ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা: স্বামীর যাবজ্জীবন
Published: 22nd, September 2025 GMT
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার দায়ে ইমরান ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আরো পড়ুন:
জমিয়ত নেতার হত্যার রহস্য উদঘাটন না হলে হরতালের হুঁশিয়ারি
খুলনায় জুলাই যোদ্ধা বাপ্পিকে হত্যার হুমকি
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন কারাদণ্ডের তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আদালতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর ভিত্তিতে এই কঠোর রায় দিয়েছেন।’’ এই রায় সমাজে যৌতুকজনিত সহিংসতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী বার্তা দেবে বলে তিনি মনে করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইমরান ফকিরের বাড়ি মধুখালী উপজেলার উলুহাট গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশি হেফাজতে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট মধুখালী উপজেলার দেউল মথুরাপুর গ্রামের মোসা.
ঢাকা/তানিম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের জন্য ফিকির পুরস্কার পেল সিনজেনটা বাংলাদেশ
ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) ‘সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস’এ ‘ইনোভেশন লিডার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’–এর স্বীকৃতি পেয়েছে সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ টেকসই প্রকল্প ‘গো গ্রো: এনরিচিং দ্য লাইভলিহুড ও কোস্টাল বেল্ট ফারমার্স’ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা ও টেকসই কৃষি উদ্ভাবনে সময়োপযোগী দৃষ্টান্ত রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সিনজেনটা বাংলাদেশের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেদায়েত উল্লাহ ও পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও সাসটেইনেবিলিটি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন। প্রকল্পটি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও মাটির উর্বরতা হ্রাস কৃষকদের জীবিকা বিপন্ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় লবণসহনশীল জাতের বীজ, সৌরশক্তিচালিত সেচ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে লবণাক্ত জমি পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের শস্য আবাদে পুকুর খননের পাশাপাশি নতুন জাতের বীজ, ভার্মি কম্পোস্ট, সোলার ইরিগেশন ও কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, সার ও কৃষি উপকরণের পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন বিষয়ে কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রকল্পটি শুরু হয় ২০২৩ সালে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), ডিএইর এসএসিপি প্রকল্প ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।