দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টাইলস ব্র্যান্ড আকিজ সিরামিকস দ্বিতীয়বারের মতো সুপারব্র্যান্ডসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। গত শনিবার রাজধানীর লো মেরিডিয়েন হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

‘সুপারব্র্যান্ডস’ বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, যা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৯০টি দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে দিয়ে আসছে।

‘প্রমিজ অব পারফেকশন’ স্লোগানে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে অল্প সময়েই দেশের অন্যতম বড় টাইলস ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে আকিজ সিরামিকস। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত টানা ছয়বার সিরামিকস ক্যাটাগরিতে ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত হয়েছে, যা সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ।

আকিজ সিরামিকসের এই অনন্য স্বীকৃতি বাংলাদেশের সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিতে ধারাবাহিক সাফল্যের পাশাপাশি গ্রাহক আস্থার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন। আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই আকিজ সিরামিকসের মানসম্মত আধুনিক ডিজাইনের টাইলস দেশজুড়ে গৃহ ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।

আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ