তাস খেলার সময় পুলিশ আসার খবরে ডোবায় লাফ, পরে লাশ উদ্ধার
Published: 22nd, September 2025 GMT
বন্ধুরা মিলে তাস খেলছিলেন। কেউ একজন তাঁদের বলেন, পুলিশ আসছে। এটি শুনেই পার্শ্ববর্তী ডোবায় লাফ দেন মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবক। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আজ সোমবার দুপুরে নগরের বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর ২ নম্বর সাইট থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার মো.
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রোববার বিকেল থেকে জলাশয়ের ধারে বসে তাস খেলছিলেন মাসুদসহ স্থানীয় কয়েকজন। সন্ধ্যার পর পুলিশ আসার খবর পেয়ে ৭ থেকে ৮ জন একসঙ্গে জলাশয়ে লাফ দেন। অন্যরা তীরে উঠতে পারলেও মাসুদ তলিয়ে যান।
জানতে চাইলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের কোনো অভিযান সেখানে ছিল না। কেউ দুষ্টুমি করে তাঁদের ভয় দেখানোর জন্য পুলিশের কথা বলতে পারেন। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত মাসুদ পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের জন্য ফিকির পুরস্কার পেল সিনজেনটা বাংলাদেশ
ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) ‘সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস’এ ‘ইনোভেশন লিডার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’–এর স্বীকৃতি পেয়েছে সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ টেকসই প্রকল্প ‘গো গ্রো: এনরিচিং দ্য লাইভলিহুড ও কোস্টাল বেল্ট ফারমার্স’ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা ও টেকসই কৃষি উদ্ভাবনে সময়োপযোগী দৃষ্টান্ত রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সিনজেনটা বাংলাদেশের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেদায়েত উল্লাহ ও পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও সাসটেইনেবিলিটি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন। প্রকল্পটি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও মাটির উর্বরতা হ্রাস কৃষকদের জীবিকা বিপন্ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় লবণসহনশীল জাতের বীজ, সৌরশক্তিচালিত সেচ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে লবণাক্ত জমি পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের শস্য আবাদে পুকুর খননের পাশাপাশি নতুন জাতের বীজ, ভার্মি কম্পোস্ট, সোলার ইরিগেশন ও কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, সার ও কৃষি উপকরণের পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন বিষয়ে কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রকল্পটি শুরু হয় ২০২৩ সালে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), ডিএইর এসএসিপি প্রকল্প ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।