যৌনকর্মীদের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেন দুই বোন, এরপর...
Published: 22nd, September 2025 GMT
নেটফ্লিক্সে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছয় পর্বের লিমিটেড সিরিজ ‘দ্য ডেড গার্লস’। মুক্তির পরই মেক্সিকান সিরিজটি উঠে এসেছে প্ল্যাটফর্মটির অ-ইংরেজিভাষী সিরিজের সেরা দশের তালিকায়। ১৯৬০-এর দশকের মেক্সিকোতে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে সিরিজটিতে।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দুই বালাদ্রো বোন সারাফিনা (পাউলিনা গাইটান) ও আর্সাঙ্গেলা (আরসেলিয়া রামিরেজ)। তাঁরা শহরজুড়ে যৌনকর্মীদের এক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেন।
ছয় পর্বে দেখানো হয়েছে, কীভাবে তাঁরা ভয় দেখিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেন, সে গল্প। পরে পুলিশ সক্রিয় হয়, নারীরাও রুখে দাঁড়ান। এরপর কী হয়, তা নিয়েই লুইস এসত্রাদার সিরিজটি। ‘দ্য ডেড গার্লস’তৈরি হয়েছে ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত লা মার্ডারসউপন্যাস অবলম্বনে। যা আবার লেখা হয়েছে ষাটের দশকের মেক্সিকোর সত্য ঘটনা অবলম্বনে। মুক্তির পর সমালোচকেরা প্রশংসা করেছেন সিরিজটির।
`দ্য ডেড গার্লস'–এর দৃশ্য। ছবি: আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স র জট
এছাড়াও পড়ুন:
এখন ফাইনালের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে একটু পরপরই চোখে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকা। দর্শকদের হাতে উড়তে থাকা সেই লাল-সবুজ ম্যাচ শেষে যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। আনন্দ আর উল্লাসে রঙিন হয়ে উঠল গ্যালারি। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে লিটন দাসের দল। বাংলাদেশ জিতেছে বলেই হয়তো ভুলে যাওয়া গেল শরীফুল ইসলামের বেধড়ক মার খাওয়া কিংবা ফসকে যাওয়া ক্যাচের হতাশা।
আবারও আলো ছড়ালেন মোস্তাফিজুর রহমান। সাইফ হাসান জানিয়ে দিলেন, তিনিও আছেন। কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গী ছিলেন লিটন দাস। ক্যাচ ফেলার হতাশা ভুলে শেষটা রাঙিয়ে তুললেন তাওহিদ হৃদয়। এমন ছোট ছোট মুহূর্ত মিলিয়েই বাংলাদেশ লিখল দারুণ এক জয়ের গল্প। যে জয় এখন দেখাচ্ছে আরও বড় স্বপ্ন—এশিয়া কাপ ফাইনাল। দিন দুয়েক আগেও যে পথটা মনে হচ্ছিল কাঁটায় ভরা, এখন তা বেশ প্রশস্তই লাগছে। আগামী বুধবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, পরদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচের একটি জিতলেও বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার যথেষ্টই সম্ভাবনা থাকবে। হেরে গেলে অবশ্যই থাকবে না। তবে ভারত বা পাকিস্তান কোনো দলকেই না হারিয়ে যে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা যায় না, এটা কে না জানে!
যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা এমন ছিল যে, তখন এসব আলোচনা করাটা রীতিমতো বাড়াবাড়ি মনে হতো। মাত্র ৪ ওভারেই শ্রীলঙ্কা তুলে ফেলে ৩৬ রান। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা খেয়ে চাপে পড়েন তাসকিন আহমেদ। তবে শেষ বলে পাতুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে পথ দেখান তিনিই। এরপর মেহেদী হাসান নেন পরপর দুটি উইকেট। কিন্তু চাপের মুখে শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়ায় দাসুন শানাকার ব্যাটে।
শানাকা আর চারিত আসালাঙ্কার ২৭ বলে ৫৭ রানের জুটি আবারও চাপে ফেলে বাংলাদেশকে। শামীম–হৃদয়ের হাত ফসকে তিনটি ক্যাচ বেরিয়ে যাওয়ার পর বড় রানে চাপা পড়ার শঙ্কাও জাগে। ঠিক তখনই আশার আলো হয়ে হাজির মোস্তাফিজ।
প্রথম ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংসের ১৯তম এবং নিজের শেষ ওভারে যা করলেন, সেটাই ঘুরিয়ে দিল ম্যাচের মোড়। প্রথম বলেই হৃদয়ের হাত ফসকে গেল আসালাঙ্কার ক্যাচ, তবে হয়ে গেলেন রানআউট। পরের ৫ বলে মোস্তাফিজ দিলেন মাত্র ৩ রান, তুলে নিলেন আরও ২ উইকেট!
ওভারের শেষ বলে হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে মোস্তাফিজ ছুঁয়ে ফেললেন সাকিব আল হাসানকে। টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক এখন তাঁরা দুজন। শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমে গেল ১৬৮ রানে।
তাড়া করতে নামা তানজিদ হাসানকে দেখে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচেও হিসাব মেলাতে পারবে না বাংলাদেশ। নুয়ান তুষারার ধাঁধা তিনি এখনো মেলাতে পারেননি—ছয়বার মুখোমুখি হয়ে চারবারই আউট হয়েছেন। তবে এতটুকুই। এরপর গল্পটা সাইফ হাসান ও লিটন দাসের। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৪ বলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৫৯ রান তুলে লিটন ফেরেন সপ্তম ওভারেই। তবে হাসারাঙ্গার বলে সুইপ করতে গিয়ে ১৬ বলে ২৩ রান করে অধিনায়ক ফিরলেও বাংলাদেশ পথ হারায়নি। এরপর কিছুক্ষণ হাল ধরে রাখেন সাইফ হাসান। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৪৫ বলে করেন ৬১ রান, ৪ ছক্কা আর ২ চারে সাজানো ইনিংস।
তাঁর বিদায়ের পর ব্যাটন তুলে নেন হৃদয়। কামিন্দু মেন্ডিসের করা পরের ওভারে ২ চার ও ১ ছক্কায় তুলে নেন ১৬ রান। ম্যাচটা তখন বাংলাদেশের একেবারে হাতের মুঠোয়।
শেষ দিকে ১ রান বাকি থাকতে ৩ বলে বাংলাদেশ হারায় ২ উইকেট। কিন্তু তাতে শ্রীলঙ্কার আফসোসই বাড়ে। নাসুম আহমেদ জয়সূচক রানটা নিতেই অন্য প্রান্তে লাফিয়ে ওঠেন শামীম হোসেন। আনন্দে ভাসে বাংলাদেশের ডাগআউট, যেন পুরো দুবাইও।