নেত্রকোনায় হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি, নিহতের স্বজনদের বিক্ষোভ
Published: 23rd, September 2025 GMT
নেত্রকোনায় কৃষক নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলার আসামিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদী ও তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের বাবা মোফাজ্জল।
দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নিহতের স্বজনরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। পরে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
মামলার এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৩০ আগস্ট প্রতিপক্ষের হামলায় মারা যান নেত্রকোনা সদর উপজেলার জামাটি গ্রামের মো.
ওই দিন রাতেই একই বিরোধকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সম্মেলন থেকে ফেরার পথে মৌগাতি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বিএনপি কর্মী দোজাহান মিয়াও (৫২) প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন।
পরদিন নূর মোহাম্মদ হত্যার ঘটনায় তার বাবা ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত নূর মোহাম্মদের বাবা মোফাজ্জল জানিয়েছেন, আসামিপক্ষের লোকজন বারবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে পরিবারের সবাই আতঙ্কে আছেন।
নূর মোহাম্মদের চাচা সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ১৭ আসামির মধ্যে মাত্র দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
তবে মামলার দুই আসামি দাবি করেছেন, হত্যাকাণ্ডের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না এবং বাদীপক্ষকে কোনো হুমকি দেননি।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেছেন, নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। বাদীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/ইবাদ/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ন র ম হ ম মদ ন ত রক ন ন হত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এক বিরল মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ তার বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তের শূন্য রেখায় এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
কলমাকান্দায় ৩৯ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার
উখিয়ায় ৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, মৃত নারীর নাম সেলিনা বেগম। বার্ধক্যজনিত কারণে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ভারতের মালদা জেলার গোপালগঞ্জ থানার শ্মশানী-চকমাহিলপুরের নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি মৃত গাজলুর রহমানের স্ত্রী। মৃত সেলিনা বেগমের ভাই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাটোলা-বাগিচাপাড়ার বাসিন্দা তোফাজ্জল হক।
তিনি জানান, তার বোনের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য বিজিবির কাছে আবেদন জানান। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বিজিবি। তারা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমারেখায় সীমান্ত পিলার ১৮২/২-এস এর নিকট শূন্য লাইনে তোফাজ্জল হককে তার প্রয়াত বোনের মরদেহ দেখানোর সুযোগ দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, সীমান্তে বিজিবি সবসময় অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করতে চায়। মরদেহ স্বজনদের দেখানোসহ এ ধরনের কার্যক্রমকে বিজিবি মৌলিক কর্তব্য মনে করে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্থানীয়রা উচ্চ প্রশংসা করেছে। তারা বলছেন, এটি প্রমাণ করে যে মানবিক সম্পর্ক সীমান্তের বেড়াজাল পেরিয়েও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী