নেত্রকোনায় কৃষক নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলার আসামিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদী ও তার স্বজনরা। 

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের বাবা মোফাজ্জল। 

দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নিহতের স্বজনরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। পরে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

মামলার এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৩০ আগস্ট প্রতিপক্ষের হামলায় মারা যান নেত্রকোনা সদর উপজেলার জামাটি গ্রামের মো.

মোফাজ্জলের ছেলে কৃষক নূর মোহাম্মদ (৩৫)। 

ওই দিন রাতেই একই বিরোধকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সম্মেলন থেকে ফেরার পথে মৌগাতি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বিএনপি কর্মী দোজাহান মিয়াও (৫২) প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। 

পরদিন নূর মোহাম্মদ হত্যার ঘটনায় তার বাবা ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত নূর মোহাম্মদের বাবা মোফাজ্জল জানিয়েছেন,  আসামিপক্ষের লোকজন বারবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে পরিবারের সবাই আতঙ্কে আছেন।

নূর মোহাম্মদের চাচা সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ১৭ আসামির মধ্যে মাত্র দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

তবে মামলার দুই আসামি দাবি করেছেন, হত্যাকাণ্ডের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না এবং বাদীপক্ষকে কোনো হুমকি দেননি।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেছেন, নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। বাদীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/ইবাদ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ন র ম হ ম মদ ন ত রক ন ন হত র

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন মাস্ক খুলেছেন ক্লিনার, অভিযোগ মৃতের স্বজনদের

অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেখ সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত সাইফুল ইসলাম নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগিপোল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শেখ ইসমাইলের ছেলে।

রোগীর স্বজনেরা জানান, কিডনি জটিলতায় গত শনিবার সাইফুলকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, পরদিন সকালে ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং কর্মচারী (ক্লিনার) আব্দুল জব্বার অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে সিলিন্ডারসহ আরেক রোগীকে দেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে সাইফুল ইসলাম মারা যান।

সাইফুলের মা রশিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাতভর দৌড়াদৌড়ি করে ছেলেকে অক্সিজেন দিয়েছিলাম। কিন্তু, সকালে ক্লিনার অক্সিজেন খুলে নেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ছেলে মারা যায়।’’

মৃতের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই ক্লিনার অক্সিজেন খুলেছেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে ছটফট করতে করতে আমার ভাই মারা গেছে।’’

ওয়ার্ডে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক ব্যক্তি এসে সাইফুলের নাক থেকে নল খুলে সিলিন্ডার নিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আউটসোর্সিং কর্মচারী আব্দুল জব্বার বলেন, ‘‘একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেওয়ার জন্য অক্সিজেন খুলে নেওয়া হয়েছিল।’’

খুমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘‘হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া বা খুলে নেওয়া ওয়ার্ড ক্লিনারের কাজ নয়। একজন রোগী কখন অক্সিজেন পাবেন, কখন পাবেন না; এ সিদ্ধান্ত জানাবেন ওয়ার্ডের ডাক্তার। যেই রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া আছে, সেই রোগীর অক্সিজেন খুলতে হলে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে খুলতে হবে। ওয়ার্ড ক্লিনার যদি খুলে নিয়ে থাকেন, তবে তিনি অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে শ্রমিক লীগ সভাপতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির ঝুলন্ত লাশ গাজীপুর থেকে উদ্ধার
  • চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন মাস্ক খুলেছেন ক্লিনার, অভিযোগ মৃতের স্বজনদের
  • গাইবান্ধায় কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু, স্বজনদের ক্ষোভ 
  • কে জানত, ইশতিয়াকের জানাজাও পড়তে হবে স্বজনদের