সৈকত দখলের অভিনব কৌশল, বসে গেল চাকা লাগানো টংঘর
Published: 24th, September 2025 GMT
ওপরে টিনের ছাউনি দেওয়া কাঠের টংঘর। নিচে চাকা লাগানো। টিনের চারদিকে নকশা করা কাঠের ফ্রেম। গত রোববার ভোররাতে সারিবদ্ধভাবে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে এমন শতাধিক ভ্রাম্যমাণ ‘টংঘর’। বালিয়াড়ির দখল নিতে এসব স্থাপনা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে আদালতে নির্দেশ অনুযায়ী সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়িতে থাকা ১৫০টি অবৈধ দোকান ও প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তার আগের বছরের ডিসেম্বর মাসে আরও একবার সুগন্ধায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় প্রশাসন। এরপর গত রোববার আবার সেখানে সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে অবৈধ দোকান স্থাপনের চেষ্টা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টংঘরের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর হয়। জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টংঘরের কয়েকজন মালিক জানান, জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখা থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা বালিয়াড়িতে দোকানগুলো স্থাপন করেছেন। প্রতিটি দোকান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পর্যটন শাখা কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক দোকান বরাদ্দ দিয়েছে। পর্যটকদের চাহিদা পূরণে বেশির ভাগ দোকানে শামুক-ঝিনুকের পণ্য ও ভাজা মাছ-ফুচকা বিক্রির কথা।
কেন বারবার দখল
কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে সুগন্ধা পয়েন্টে। এর পরে সি-গাল, লাবণী ও কলাতলী পয়েন্ট। কিন্তু বারবার সুগন্ধা পয়েন্টে অবৈধ দোকানপাট নির্মাণের ঘটনা ঘটছে। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে সুগন্ধা সৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধ দোকানপাট নির্মাণের কারণে পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি হয়। প্রশাসন উচ্ছেদ করলেও আবার তৈরি হয় অবৈধ দোকানপাট।
ট্যুরিস্ট পুলিশ, হোটেলমালিক ও অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাটের মালিকদের কয়েকজন জানান, কলাতলী থেকে দক্ষিণ দিকে টেকনাফ পর্যন্ত ১১৫ কিলোমিটার সৈকতে প্রতিদিন যে পরিমাণ পর্যটক ঘুরতে যান, সুগন্ধাসহ আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারে তার চেয়েও বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সুগন্ধা সৈকত পর্যটকে ভরপুর থাকে। দোকানপাটে বেচাবিক্রিও হয় জমজমাট। পর্যটন মৌসুমে সুগন্ধার দুই শতাধিক দোকানে দৈনিক অন্তত এক কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। দোকানপাটে বিক্রি হয় শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি রকমারি পণ্য, প্রবাল, আচার, কাপড়চোপড়, রোদচশমা, ভাজা মাছ, ফুচকাসহ নানা খাবার। দোকানগুলো বালুচরে খুঁটি গেড়ে কিংবা তাবু টাঙিয়ে তৈরি করা হতো। কিন্তু এবার চাকা লাগানো ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ, হোটেল মালিক ও অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাটের মালিকদের কয়েকজন জানান, কলাতলী থেকে দক্ষিণ দিকে টেকনাফ পর্যন্ত ১১৫ কিলোমিটার সৈকতে প্রতিদিন যে পরিমাণ পর্যটক ঘুরতে যান, সুগন্ধাসহ আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারে তার চেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সুগন্ধা সৈকত পর্যটকে ভরপুর থাকে। দোকানপাটে বেচাবিক্রিও হয় জমজমাট। পর্যটন মৌসুমে সুগন্ধার দুই শতাধিক দোকানে দৈনিক অন্তত এক কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। দোকানপাটে বিক্রি হয় শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি রকমারি পণ্য, প্রবাল, আচার, কাপড়চোপড়, রোদচশমা, ভাঁজা মাছ, ফুচকাসহ নানা খাবার। দোকানগুলো বালুচরে খুঁটি গেড়ে কিংবা তাবু টাঙিয়ে তৈরি করা হতো। কিন্তু এবার চাকা লাগানো ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো হয়েছে।মোহাম্মদ তারেক নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘লাখ টাকা খরচ করে বালিয়াড়িতে দোকান বসানোর চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসন থেকে নিজ উদ্যোগে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় দোকানে মালামাল রাখা যাচ্ছে না। বেচাবিক্রিও শুরু হয়নি। এবার টংঘর আকৃতির দোকানে চারটি করে চাকা লাগানো হয়েছে। কারণ উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগেই যেন দোকানগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।’
মো. ফারুখ নামের আরেকজন বলেন, ‘সুগন্ধা সৈকতে সব সময় পর্যটকে ভরপুর থাকে, বিক্রিও ভালো হয়। এ কারণে দোকানপাট বসানোর জন্য সুগন্ধা সৈকতে বেছে নেওয়া হয়। রোববার গভীর রাতে বালিয়াড়িতে শতাধিক টংঘর নামানো হলেও বিক্রি শুরু করা যাচ্ছে না। পুলিশ আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দোকান সরিয়ে নিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। আতঙ্কে আছি।’
ঝিনুক মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জয়নাল উদ্দিন বলেন, রাতের আঁধারে সুগন্ধা সৈকতের বালিয়াড়িতে হঠাৎ দোকানপাট বসানোর ঘটনায় বৈধ ব্যবসায়ীরা হতাশ। জেলা প্রশাসনের অনুমতি থাকলে গভীর রাতে দোকান বসাতে হবে কেন? সুবিধাভোগী একটি সিন্ডিকেট বালিয়াড়িতে অবৈধভাবে দোকানপাট বসিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাতে বৈধ ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
সুগন্ধা পয়েন্টে গেলেই চোখে পড়বে সারি সারি টং দোকানউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অব ধ দ ক ন দ ক ন বস ব যবস য় পর যটক স কত র শত ধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
কতবেলের কেনাবেচা
২ / ৮বিক্রির আগে বস্তায় করে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে কতবেল।