দূরন্ত এমবাপ্পের ডানায় চড়ে উড়ছে রিয়াল
Published: 24th, September 2025 GMT
নতুন মৌসুমের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর ওপর ভর করে উড়ছে রিয়াল মাদ্রিদও। সর্বশেষ গতকাল রাতে লা লিগার ম্যাচে লেভান্তের মাঠে রিয়াল জিতেছে ৪–১ গোলে। এ জয়ে রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেন এমবাপ্পে। অন্য দুটি গোল ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর।
দুর্দান্ত এ জয়ে চলতি মৌসুমে লা লিগার ৬ ম্যাচের সব কটিতেই জিতল রিয়াল। শীর্ষে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট এখন ১৮। দুইয়ে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫ ম্যাচে ১৩। পাশাপাশি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খেলা ৭ ম্যাচের প্রতিটিতে জিতল রিয়াল।
এর আগে রিয়াল প্রথম ৭টি অফিশিয়াল ম্যাচ জিতেছিল ১৯১৬-১৭ (আর্থার জনসন), ১৯৩১-৩২ (লিপ্পো হার্জকা), ১৯৩৪-৩৫ (পাকো ব্রু), ১৯৬১-৬২ ও ১৯৬৮-৬৯ (মিগেল মুনিয়োস), ২০০৯-১০ (ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি) ও ২০২২-২৩ (কার্লো আনচেলোত্তি) মৌসুমে।
আরও পড়ুনপিছিয়ে পড়েও এমবাপ্পের ৫০তম গোলে মার্শেইকে হারাল ১০ জনের রিয়াল১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫এ ছাড়া লা লিগার ইতিহাসে এটি রিয়ালের টানা ৬ ম্যাচ জেতার ষষ্ঠ ঘটনা। এর আগে ১৯৫৮–৫৯, ১৯৬১–৬২, ১৯৬৮–৬৯, ১৯৮৭–৮৮ ও ২০২২–২৩ মৌসুমেও লিগে টানা ৬ ম্যাচ জিতেছিল তারা। তবে এই ৫ বারের মধ্যে ৩ বার চ্যাম্পিয়ন হলেও ২ রানার্সআপ হয়েছে তারা। রিয়ালের পাশাপাশি ইতিহাসের অংশ হয়েছেন জাবি আলোনসোও। লা লিগার ইতিহাসে তিনি অষ্টম কোচ হিসেবে প্রথম ৬টি লিগ ম্যাচ জিতলেন।
রিয়াল তারকাদের গোল উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
নিউজিল্যান্ডে সন্তানদের হত্যা করে স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখার ঘটনায় মা দোষী সাব্যস্ত
নিউজিল্যান্ডে দুই সন্তানকে হত্যা করে তাদের মৃতদেহ স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এক নারী। প্রায় দুই সপ্তাহ বিচারকাজ চলার পর আজ মঙ্গলবার অকল্যান্ড হাইকোর্টে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
৪৪ বছর বয়সী ওই নারীর নাম হাকইয়ুং লি। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
আদালতে লির আইনজীবীরা যুক্তি দেখিয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁদের মক্কেল মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর স্বামীর ক্যানসারে মৃত্যু হওয়ার কয়েক মাস পর এ ঘটনা ঘটেছিল। তবে সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেন, লির কর্মকাণ্ড পরিকল্পিত ছিল।
২০২২ সালে অকল্যান্ডের একটি পরিবার লির সন্তানদের মরদেহগুলো খুঁজে পায়। পরিবারটি অকল্যান্ডের নিলাম থেকে একটি পরিত্যক্ত গুদামের জিনিসপত্র কিনেছিল। সেখানকারই একটি স্যুটকেসে দেহাবশেষগুলো খুঁজে পায় তারা। ধারণা করা হয়, কয়েক বছর ধরে দেহাবশেষগুলো গুদামে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।
লি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান থেকে গ্রেপ্তার হন। সে বছরের শেষদিকে তাঁকে নিউজিল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়।
মামলা চলাকালে আদালতে বলা হয়, লির সন্তানদের মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল যে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের বরাতে কৌঁসুলিরা বলেছেন, ওই শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। তবে ঠিক কী পদ্ধতিতে করা হয়েছে, তা নিশ্চিত নয়। তাদের বিষণ্নতারোধী একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
কৌঁসুলিরা বলছেন, লি যথেষ্ট বুঝেশুনেই কাজ করেছেন। সন্তানদের মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা, নিজের নাম পাল্টানো এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্তগুলো তিনি সুচিন্তিতভাবেই নিয়েছিলেন।আদালতে বলা হয়েছে, লি ২০১৭ সালের আগস্টে একটি ফার্মেসি থেকে ওই ওষুধ কেনার জন্য প্রেসক্রিপশন নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী ইয়ান জোর ক্যানসার ধরা পড়ার পাঁচ মাস পরের ঘটনা এটি।
লির আইনজীবীর দাবি, স্বামীর মৃত্যুর পরে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি মনে করতে শুরু করেন যে সবার একসঙ্গে মরে যাওয়াটাই ভালো। আর সে ভাবনা থেকেই তিনি নিজেকে ও সন্তানদের মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি ওই ওষুধের ভুল ডোজ নেওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। ঘুম ভাঙার পর তিনি দেখেন তাঁর সন্তানেরা মারা গেছে।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের একটি পরিত্যক্ত গুদাম থেকে ২০২২ সালে লির সন্তানদের মরদেহ উদ্ধার হয়