Prothomalo:
2025-11-17@09:27:06 GMT

কোথায় আছেন মীনা, রাজু, মিঠুরা

Published: 24th, September 2025 GMT

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষে ‘মীনা’, ‘রাজু’ ও ‘মিঠু’র খোঁজ মিলল। এখন অনেক বড় হয়ে গেছে তারা আর ভীষণ ব্যস্তও। ‘মীনা’, ‘রাজু’, ‘মিঠু’ অবশ্য ওদের পর্দার নাম। পর্দার আড়ালে থাকা প্রমিতা গাঙ্গুলী, আবরার সাজিদ পাশা ও কামাল আহসানের কণ্ঠ শোনা গেছে পর্দার ‘মীনা’, ‘রাজু’ আর ‘মিঠু’র মুখে। সেটা অবশ্য ৩০ বছর আগে।

মীনা এখন গৃহবধু
‘ও রাজু, তুমি ইশকুলে যাইবা না?’ স্টুডিওতে প্রথম দিন এই সংলাপ দিয়েছিলেন প্রমিতা। ‘মীনা’ চরিত্রে কণ্ঠ দেওয়া প্রমিতা গাঙ্গুলীকে গতকাল সোমবার বিকেলে পাওয়া গেল। শৈশবে কার্টুনপাগল মেয়েটির অভিনয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। এখন আর তিনি বিনোদন জগতে নেই। তবে ‘মীনা’কে নিয়ে তাঁর অভিনয়ের স্মৃতিগুলো আজও জাগরূক। ছোটবেলায় কার্টুন দেখতে দেখতে চরিত্রের মতো কথা বলা রপ্ত করেছিলেন। নিজে নিজেই বলতেন সংলাপ। পরে এক আত্মীয়ের সূত্রে ‘মীনা’ কার্টুনের দলের সঙ্গে পরিচয়। বাবার হাত ধরে চলে যান ধানমন্ডির এক স্টুডিওতে। ২০২১ সাল পর্যন্ত মীনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। তত দিনে বড় হয়ে গেলেও কণ্ঠটা রপ্ত করেছিলেন বেশ, সমস্যা হয়নি।

মীনা নিয়ে ভাবনাসাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব রিজিওনাল কো–অপারেশন, সংক্ষেপে সার্ক, ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালকে মেয়েশিশুর দশক হিসেবে ঘোষণা করে। এ উপলক্ষে একটি অ্যানিমেটেড সিরিজ তৈরি করে দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের আনন্দ ও উৎসাহ দিতে চেয়েছিল জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। মীনা নিয়ে ভাবনার শুরু তখন থেকেই।

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি শেষ করে পড়েছেন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। তড়িৎ ও ইলেকট্রিক প্রকৌশলের ডিগ্রি নিয়েছেন। পরে ইউল্যাব থেকে এমবিএ করেন। মাঝখানে বেশ কিছুদিন একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তবে এখন গৃহিণী, সন্তানকে সময় দিচ্ছেন। সন্তান একটু বড় হলে তখন কিছু একটা করার পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে স্বামীর চাকরিসূত্রে গাজীপুরে থাকেন। প্রমিতা জানান, স্কুলজীবন থেকেই অনেকে তাঁকে ‘মীনা’ বলে ডাকে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ক্যাম্পাসেও ‘মীনা’ ডাক শুনতে হয়েছে।

ফিলিপাইনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যানিমেশন স্টুডিও হান্না বারবারায় ১৯৯২ সালে মীনা কার্টুনের প্রথম বেশ কয়েকটি পর্ব নির্মাণ করা হয়। এরপর ভারত ও বাংলাদেশে মীনা কার্টুন তৈরি হয়েছে। ভারতীয় অ্যানিমেশনের জনক রাম মোহনের হাতে যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল মীনা।‘মীনা’ চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রমিতা গাঙ্গুলী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ