মির্জাগঞ্জে দুই চিকিৎসকের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 24th, September 2025 GMT
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা সামসুল ইসলাম সোহেল ও চিকিৎসা কর্মকর্তা উমর ফারুকের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে সুবিদখালী সরকারি কলেজের সামনে ‘সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
একই দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কের সুবিদখালী রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীর।
আজ বেলা ১১টার দিকে সুবিদখালী সরকারি কলেজের সামনে মানববন্ধন শুরু হয়। পরে আন্দোলনকারীরা বরগুনা–বাকেরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। পরে বেলা একটার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।
আন্দোলনকারীরা জানান, সম্প্রতি স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। এতে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা সামসুল ইসলাম ও উমর ফারুকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর কোনো তদন্ত ছাড়াই ওই দুজনকে অন্যত্র বদলির আদেশ দেয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। মিথ্যা অভিযোগে হঠাৎ করে এভাবে দুজন গুণী চিকিৎসকের বদলি সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না। তা ছাড়া এ আদেশ কার্যকর হলে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা তীব্রভাবে ব্যাহত হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বদলির আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ দুজন চিকিৎসক বদলি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত চ ক ৎসক র স মন উপজ ল র বদল
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনা-১ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
পাবনা-১ আসন থেকে বেড়া উপজেলাকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বেড়া উপজেলার বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেড়া উপজেলার কয়েকশত মানুষ ব্যানার ফেসটুন নিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
কুমিল্লার ৪টি আসনের সীমানায় বড় পরিবর্তন
এ সময় সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেন তারা। পরে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার আংশিক নিয়ে পাবনা-১ আসন ছিল। সম্প্রতি আসনটি ভেঙে ৩ লাখ ২৩ হাজার ভোটারের সাঁথিয়া উপজেলাকে আলাদা করে পাবনা-১ এবং বেড়া উপজেলাকে পার্শ্ববর্তী পাবনা-২ আসনে সুজানগর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। এ সিন্ধান্ত পুনঃবিবেচনার শান্তিপূর্ণ দাবিতে সাড়া না মেলায় আন্দোলনে নেমেছেন বেড়ার মানুষ। নতুন সংসদীয় সীমানার প্রজ্ঞাপন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকসেদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক মইনুল হক, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুদ্দিন খাজা, বেড়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নয়ন আলী প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীরা বেলা ১২টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন।
বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে বেড়া থেকে সাঁথিয়াকে আলাদা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এলাকার ভৌগোলিক বিষয়ে না দেখে, না বুঝে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বেড়া ও সাঁথিয়া ভাই ভাই। স্বাধীনতার পর থেকে সকল নির্বাচন একসঙ্গে হয়ে আসছে। সামাজিকতা, ব্যবসা, রাজনীতি সকল কিছু আমাদের একসঙ্গে। তবে আসন কেন বিন্যাস হবে, আলাদা হবে। আমরা এই অন্যায় আসন বিন্যাস মানি না। যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় আসন ঠিক না হবে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’
ঢাকা/শাহীন/বকুল