রাজশাহীতে অভিনব কৌশলে এক দোকানীর কাছ থেকে টাকার বান্ডেল নিয়ে চোখের পলকেই সেখান থেকে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা চুরি করেন দুই প্রতারক। তারা নিজেদের বিদেশী পরিচয় দিয়েছিলেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার বড় মসজিদ সংলগ্ন একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটেছে।

আরো পড়ুন:

রাবিতে চলমান শাটডাউনের প্রতিবাদে শিবিরের মানববন্ধন

৭ দিনের জন্য রাবির ‘শাটডাউন’ স্থগিত

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এজাজ আহাম্মেদ (৩০) নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করেন। তার বাড়ি নগরের বোয়ালিয়া থানার দরগাপাড়া মহল্লায়।

টাকা চুরি করার ওই দৃশ্য দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রায় ৪৫ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে দোকানে আসেন। তারা দোকানীর কাছে বাংলাদেশী নতুন নোট দেখতে চান। এ সময় দোকানী বেশি বয়স্ক ব্যক্তিটিকে ১ হাজার টাকার একটি নোট দেন। সেটি দেখার পর ওই ব্যক্তি ‘ফাইভ হান্ড্রেড’ বলে ৫০০ টাকার নোট দেখতে চান। দোকানী তখন ৫০০ টাকার একটি নোট দেখতে দেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি ব্যান্ডেলে ৫০০ টাকার নোট দেখতে চান।

দোকানী এজাজ তখন ৫০০ টাকার নোটের ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডেল। বান্ডেল দেখার সময় চোখের পলকেই কৌশলে কিছু নোট তিনি হাতের নিচে নিয়ে নেন। পরে হাতের ওপরের অংশে থাকা টাকাগুলো ফেরত দেওয়া হলেও নিচে থাকা টাকাগুলো পকেটে ঢুকিয়ে নেন তিনি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এজাজ আহাম্মেদ জানান, যে ব্যক্তি টাকা দেখতে চেয়েছিলেন, তিনি নিজেকে ‘ফরেনার’ বলেছিলেন। অন্যজন বলেছিলেন তিনি শ্রীলঙ্কান। তারা ‘মানি এক্সচেঞ্জ, মানি এক্সচেঞ্জ’ বলে দোকানে আসেন। তিনি তাদের মুদ্রা বিনিময়ের দোকানও দেখিয়ে দেন। কিন্তু এক ব্যক্তি নতুন নোট দেখতে চান।

তিনি জানান, তিনি ভেবেছিলেন বিদেশী বলে হয়তো নতুন নোট চেনেন না। নোট না চেনার কারণে প্রতারিতও হতে পারেন। তাই সরল বিশ্বাসে টাকার বান্ডেল দেখতে দিয়েছিলেন। ওই সময় চোখের পলকেই ১৯ হাজার ৫০০ টাকা চুরি করা হয়।

তিনি আরও জানান, প্রতারক দুজন ইংরেজির পাশাপাশি অন্য একটা ভাষায় কথা বলছিলেন। তাদের বিদেশী বলেই মনে হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “এ রকম ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। তবে থানার বাইরে থাকায় অভিযোগটা দেখা হয়নি। এখনই থানায় এলাম। অভিযোগটা দেখব। দেখে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/কেয়া/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ খ র পলক ই ৫০০ ট ক র ন ট দ খত নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ