চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) পরিচালক পদে নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ৩৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চেম্বারের নোটিশ বোর্ডে দেওয়া প্রার্থী তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৭১ জন। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক প্রার্থী বাদ পড়েছেন।

চেম্বার সূত্র জানায়, গত ১৪ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোয়নয়পত্র সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ২১ সেপ্টেম্বর ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ বছর চেম্বারের নির্বাচনী বোর্ড থেকে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব নথি ও তথ্য জমা দিতে না পারায় বাদ পড়েছেন ৩৫ জন প্রার্থী। তবে আগামী শনিবার পর্যন্ত আপিল করা সুযোগ আছে তাঁদের। আগামী ৫ অক্টোবর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা।

এবার নির্বাচনে নির্বাচন বোর্ড মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সাতটি তথ্য চেয়েছে। চেম্বার জানায়, এ বছর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সত্যায়িত কর, ভ্যাট, শুল্ক পরিশোধের সনদ; পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ ও ঋণখেলাপি কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল প্রত্যয়ন সনদ (সিআইবি) জমা দিতে হয়েছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা ভোগের পাঁচ বছর পার না হলেও প্রার্থী হওয়া যাবে না।

বাদ যাওয়া প্রার্থীদের তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, ৩৫ জনই বাদ গেছেন সিআইবি প্রতিবেদন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও ভ্যাট রিটার্ন না থাকায়। এর মধ্যে ৪ জনের সিআইবি প্রতিবেদন ইতিবাচক নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভ্যাট রিটার্ন নেই ৮ জনের এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ জমা দেননি এমন প্রার্থী ৮ জন। আবার সিআইবি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ নেই এমন ব্যবসায়ী ৩ জন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ ও ভ্যাট রিটার্ন নেই এমন ব্যবসায়ী ৪ জন।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সহকারী সচিব মোহাম্মদ তারেক বলেন, এবার সাধারণ শ্রেণিতে ৪৮টি, সহযোগী শ্রেণিতে ১৭টি এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপে ৩টি করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে টাউন অ্যাসোসিয়েশনে কেউ বৈধ হননি। সাধারণ শ্রেণিতে ২৪টি, সহযোগীতে ৯টি ও ট্রেড গ্রুপে ৩টি মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাঁরা ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স আইব

এছাড়াও পড়ুন:

আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন: তামিম

মাঠের ক্রিকেট ছেড়ে ক্রিকেট প্রশাসনের অংশ হয়ে ক্রিকেট নিয়েই থাকতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে অংশ নিতে সব প্রক্রিয়াতেই ছিলেন। নিজের পছন্দের একটি প্যানেলও তৈরি করেছিলেন, যাদেরকে নিয়ে এগিয়ে নিবেন দেশের ক্রিকেট৷

কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে মনোনয়নপত্র তুলে নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম৷ তার শঙ্কার জায়গা ছিল, নির্বাচনকে ঘিরে নোংরামি করা হচ্ছে। তার ওপর আলাদা চাপ আছে এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে নির্বাচনের জন্য আদর্শ পরিবেশ পাচ্ছিলেন না তামিম। এ কারণে নিজ থেকে সরে গেছেন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর তামিম বলেছেন, `আপনারা বলেন ফি*ক্সিং বন্ধ করেন ক্রিকেটে। আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন। এটা কোনো ইলেকশান ছিল না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ইলেকশন কালো দাগ হয়ে থাকবে। বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে। এটা সুন্দর প্রক্রিয়া হতে পারে না। যারা বোর্ডে আছেন তারা চাইলে এভাবে ইলেকশন করতে পারেন, জিততেও পারেন। তবে আজকে ক্রিকেট শতভাগ হেরে গেছে।'’

গতকাল বিকেলে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট থেকে উঠে আসা বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর পর থেকেই তামিমের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়। তাতে যোগ দেবেন আরও ক্লাব।

আজ সকালে ১০ টার পর তামিম সর্বপ্রথম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এরপর আরও ১৪টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জমা পরে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলে চূড়ানত সংখ্যা জানা যাবে। 

ঢাকা/ ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিবির পরিচালক পদে প্রার্থী হলেন যাঁরা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন কারা
  • তামিম বললেন, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন
  • আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন: তামিম
  • বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে তামিম বললেন—ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করার আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন