৬ দিনের রিমান্ডে সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল
Published: 25th, September 2025 GMT
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হকের (মুক্তি) ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি মোজাম্মল হকের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আজ এই মামলায় কবিরুল হক ও মোজাম্মেলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তার করার পর কবিরুল ও মোজাম্মেলের মুঠোফোন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাঁরা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। এ কাজে তাঁরা ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছেন। সহিংসতা ছড়াতে প্ররোচনা দিচ্ছেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। তবে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কবিরুল ও মোজাম্মেলের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে গুলশানের নিকেতন এলাকার একটি বাসা থেকে কবিরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে বুধবার দুপুরে গুলশানে অভিযান চালিয়ে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কবিরুল হক নড়াইল-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। গত বছর গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলটির অনেক নেতার মতো কবিরুল হক আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।