মেয়ের মরদেহ ২০ বছর ফ্রিজারে রাখার অভিযোগে বৃহস্পতিবার জাপানে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত নারীর নাম কেইকো মোরি (৭৫)। স্থানীয় পুলিশ বলেছে, মোরি নিজের মেয়ের মরদেহ দুই দশক ফ্রিজে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেছেন।

স্থানীয় পুলিশের এক মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত মঙ্গলবার টোকিওর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চলে (প্রিফেকচার) মোরির বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। তাঁর বাসার ডিপ ফ্রিজার থেকে প্রাপ্তবয়স্ক এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের মুখপাত্র বলেন, মোরি জানান, ফ্রিজারে থাকা মরদেহ তাঁর কন্যা মাকিকোর। তিনি ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জীবিত থাকলে এখন তাঁর বয়স হতো ৫০ বছর।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, মরদেহটি অনেকটা ক্ষয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য মরদেহটির ময়নাতদন্ত করা হবে।

পুলিশ অনুসন্ধান করে এই মরদেহ উদ্ধার করেনি; বরং মঙ্গলবার মোরি এক আত্মীয়ের সঙ্গে পুলিশের কাছে গিয়ে জানান, তাঁর বাসার ফ্রিজারে একটি মরদেহ রয়েছে।

পুলিশের ওই মুখপাত্র জানান, তদন্তকারীরা মোরির সঙ্গে তাঁর বাসায় যান। ফ্রিজার খুলে দেখেন, মরদেহটি টি-শার্ট এবং অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় মাথা ঝুঁকে হাঁটুর ওপর বসার ভঙ্গিতে রাখা ছিল। সৎকার না করে মরদেহ রেখে দেওয়ার অভিযোগে মোরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মোরি তদন্তকারীদের বলেছেন, ‘বাড়িতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল, তাই ফ্রিজার কিনে মেয়ের মরদেহ সেখানে রেখেছিলাম।’

মোরির একাধিক সন্তান রয়েছে। তবে পুলিশ তাঁদের সংখ্যা বা তাঁরা মাকিকো সম্পর্কে তদন্তকারীদের কী তথ্য দিয়েছেন, তা প্রকাশ করেনি। তবে পুলিশের মুখপাত্র জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে একা বসবাস করছিলেন মোরি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য় র মরদ হ তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ