পাকিস্তানি অভিনেত্রী-লেখক মিরা শেঠি। অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল উপহার দিয়েছেন। দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসাও কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে বেশ কিছু দিন ধরে ব্যক্তিগত কারণে খবরের শিরোনামে রয়েছেন ৩৮ বছরের মিরা।

মিরা ব্যক্তিগত জীবনে বিলাল সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করেন তারা। ২০১৯ সালে এই প্রেম পরিণয় লাভ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে বিলাল সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই অভিনেত্রী। খুব ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।

মিরা-বিলালের বিচ্ছেদ নিয়ে অনেক দিন ধরে মিডিয়া পাড়ায় চর্চা চলছিল। তবে এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন মিরা। কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেন। তারপর থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই নায়িকা।

বিলালের সঙ্গে মিরার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে। গত ২ বছর ধরে এ খবর গোপন রেখেছিলেন তারা। মিরা শেঠি বলেন, “কুচ আনকাহি’ ধারাবাহিকের কয়েক মাস আগে আমার ডিভোর্স হয়। ধারাবাহিকটির যখন শুটিং করছিলাম, তখন আমি অসম্ভব কঠিন সময় পার করছিলাম।”

কঠিন সেই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে মিরা শেঠি বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ ছিলাম। কারণ তখন আমার কাজ ছিল, যা আমাকে স্থির থাকতে সাহায্য করেছিল। আমি সকালে উঠে সেটে যেতাম। সজল, আহমেদ স্যার এবং নাদিম বেগ বিষয়টি জানতেন এবং আমাকে অপরিসীম সহানুভূতি ও সমর্থন দেখিয়েছিলেন।” তবে কী কারণে সংসার ভেঙেছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি মিরা। 

১৯৮৭ সালের ১২ জানুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন মিরা শেঠি। ২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েলেসলি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তার জুনিয়র বছরটি ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে কাটান। ওয়েলেসলিতে ইংরেজি ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে অধ্যয়ন করেন মিরা। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সহকারী বই সম্পাদক হিসেবে দুই বছর কাজ করেন মিরা।

২০১৩ সালে ‘সিলভাটে’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়ে নাম লেখান মিরা শেঠি। একই বছর ‘মহব্বত সুবেকা সাঁতরা হ্যায়’ ধারাবাহিকে একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এক যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে ‘জানাম’, ‘তুঝে নাম হামারা’, কুচ আনকাহি’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। তাছাড়া ‘সেভেন দিন মোহাব্বত ইন’ নামে একটি সিনেমায়ও দেখা গেছে মিরাকে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ