বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা–ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মা ও মেয়ে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি কাঠালতলা এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

নিহতরা হলেন- গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কুঠিবাড়ি গ্রামের বিপুল চন্দ্র দাস (৩৮), তার ছেলে বিপ্লব চন্দ্র দাস (৫) এবং অটোরিকশা চালক শিবগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শুকুর আলী (৪০)। আহতরা হলেন- নিহত বিপুলের স্ত্রী মমতা রানী দাস (৩২) ও মেয়ে রুপা মনি দাস (১২)।

আরো পড়ুন:

রংপুরে পিকআপে ট্রাকের ধাক্কা, মা-ছেলেসহ নিহত ৩

শান্তিগঞ্জে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, মা-মেয়েসহ নিহত ৩

সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামিরুল ইসলাম বলেন, ‍“দুর্গাপূজার ছুটিতে বিপুল পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। ভোরে ঢাকা থেকে বাসে বগুড়ায় নেমে অটোরিকশা যোগে নারচী গ্রামে যাচ্ছিলেন তারা। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতির বালুবাহী ট্রাক তাদের বহনকারী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক শুকুর আলী মারা যান। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে বিপুল ও তার ছেলে বিপ্লবের মৃত্যু হয়।” 

তিনি আরো বলেন, “আহত মমতা রানী ও রুপা মনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘাতক ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে আছে। নিহতদের মরদেহ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ